দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানাধীন ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উক্ত আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান। ইতোমধ্যে জেলা রির্টানিং অফিসার রাব্বি মিঞা আগামী নির্বাচনের জন্য তাঁর দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় কাউন্সিলরবৃন্দরা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতে কাউন্সিলররা বক্তব্যে জানালেন আগামী নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানকে কেন আবারো বিজয়ী করতে হবে।
রবিবার ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারে এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ সাগর বলেন, আগে বন্দর ঘাট দিয়ে হাতে করে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসার সময় ১০টাকা টোল দিতে হতো। আর এখন বন্দর ঘাট দিয়ে ফ্রি যাতায়াত করা যায়। বন্দর ও নবীগঞ্জ ঘাট দিয়ে আমরা ফেরীতে নদী পারাপার হতে পারছি। মদনগঞ্জে শান্তিরচরে নীটপল্লী হলে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসব কিছুই এমপি সেলিম ওসমানের বদৌলতে সম্ভব হয়েছে। আগামী যদি আমরা উনাকে হারাই তাহলে আমাদের বন্দরবাসীর কপাল পুড়বে। তাই উনাকে আবারো বিজয়ী করতে হবে।
২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদ বলেছেন, আমি বিএনপি করি। রাজনৈতিকভাবে যার যার দল সে সে করে। আমরা বন্দরবাসী জালাল হাজী সাহেবের আমল থেকে সেলিম ওসমান পর্যন্ত দেখেছি। কোন এমপি কি করেছেন তাও আমরা জানি। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন নেতা, এমপি, মন্ত্রী হওয়া হলে লুটপাট করে। কিন্তু সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছেন নিজ অর্থায়নে। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে জনগনের কাজ করেছেন, আমাদের জন্য কাজ করেছেন। তাহলে আমরা উনার মত একজন ভাল মানুষের জন্য কাজ করবোনা কেন? আগামী নির্বাচনে আমরা প্রমান দিবো আমরাও ভাল মানুষ। উনার ভাল কাজের পুরস্কার না দিলে আমাদের বেঈমানী করা হবে।
২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার বলেছেন, এমপি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে আমার ওয়ার্ডে শিকদার মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩টি নতুন ভবন হয়েছে। আরো একটি ভবনের কাজ চলছে। শাহী মসজিদের পাশে প্রাইমারী স্কুলের নতুন ৪ তলা ভবন হয়েছে। যা বন্দরের অন্য কোন এলাকায় হয় নাই। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায়। আগামীতে মহাজোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। আমরা কোন দল নয় উন্নয়নকে প্রাধান্য নিয়ে বিগত দিনে উনার সাথে কাজ করেছি। আগামীতেও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে উনাকেই পুণরায় বিজয়ী করবো।
২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ বলেছেন, আমরা তৃনমূলের জনপ্রতিনিধি। আমাদের নির্বাচনে যেভাবে প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষের পায়ে হাত দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছি। উনার পক্ষে হয়তো সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের প্রত্যেককে সেলিম ওসমান হয়ে মানুষের হাত-পা ধরে ভোট সংগ্রহের মাধ্যমে উনাকে বিজয়ী করতে হবে। আমাদের বক্তব্য তখনই স্বার্থক হবে যখন আমরা উনাকে আবারো বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে পারবো।
২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান বলেছেন, সেলিম ওসমানের মাধ্যমে বন্দরে নীটপল্লী হলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বন্দরে এখনো লাখ লাখ মানুষ বেকার রয়েছে। বন্দরকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হলে আগামীতে আবারো সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করা বন্দরবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বলেছেন, বিগত দিনে আমাদের নির্বাচনে যে ভুল গুলো ছিল সেগুলোতে শুধরে নিয়ে আগামী নির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে কাজ করতে হবে। অনেকেই উনার নির্বাচন করতে আসছেন। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। তবে কিছু মীর জাফর ও বেঈমানদের প্রতি আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানের প্রয়োজনে নয় আমাদের বন্দরবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য উনাকে আবারো সংসদে পাঠাতে হবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সেলিম ওসমান শুধু এই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনেই নয় সারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর যত সংসদ সদস্য হয়েছেন কেউ উনার মত নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে জনগনের কল্যাণে কাজ করেন নাই।
২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন বলেছেন, সেলিম ওসমান অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। উনার সাথে অন্য কারো তুলনা হয়না। উনি গত সাড়ে ৪ বছর শুধু বন্দরবাসীকে দিয়েই গেছেন। এখন সময় এসেছে উনাকে বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে কিছু দেওয়ার। তাই আগামী নির্বাচনে উনাকে আমরা বন্দরবাসী ভোট দিয়ে বিজয় উপহার দিবো।
২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা বলেছেন, বিগত দিনে এমপি সেলিম ওসমান সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজের পকেটের টাকায় এলাকার সমস্যা সমাধান করেছে, স্কুল কলেজের উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে অব্যাহত করতে আগামীতে অবশ্যই সেলিম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করতে হবে।
২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান বাবুল বলেছেন, এমপি সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এমন করে অন্য কাউকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে দেখি নাই। তাই উনার এমন কর্মকান্ড আমাকে অনুপ্রানিত করেছে। আগামী নির্বাচনে উনাকে বিজয়ী করার পরেই এলাকার মানুষের দাবী দাওয়া নিয়ে উনার সামনে যাবো।
মত বিনিময় সভায় এমপি সেলিম ওসমান ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।