সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হুট করেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। মুলত জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে যখন মাসুকুল ইসলাম রাজীব ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে যখন সোনারগাঁয়ের ভোটগুলো গোলাম ফারুক খোকনের বাক্সে নিতে নীল নকশা তৈরি করেছে বিএনপির একটি অংশ। যে অংশ হিসেবে গিয়াসউদ্দীন আহমেদের ড্যামী প্রার্থী হয়েছেন খন্দকার আবু জাফর। এক্ষেত্রে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে চাপে ফেলার চেষ্টা চলছে। যাতে করে মান্নানের ভোটগুলো খোকনের বাক্সে যায়। একইভাবে আবু জাফর সভাপতি পদে ফেল করলেও তাকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বসানো হবে। ফলে জেলা বিএনপির বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহামুদকেও মাইনাস করা যায়। ফলে এক ঢিলে তিন পাখি মারার নীল নকশা।
নেতাকর্মীরা জানান, ১০ জুন গণমাধ্যমে খন্দকার আবু জাফর জেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সোনারগাঁয়ে গিয়াসউদ্দীনকে নিয়ে শোডাউন করেন। ওই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন ছিলো। তখন মান্নান বিরোধীতা করেছিলেন। জাফরের সঙ্গে গিয়াসের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এবার জাফরকে সুযোগ করে দিয়ে মান্নান, মামুন ও রাজীবকে মাইনাস করানো যায় সহজে, এমন নকশা তৈরি করেছে বিএনপির একটি অংশ। জাফর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হলে সোনারগাঁয়ে জাফরের কর্তৃত্ব বাড়বে এবং মামুন সাইজ হবে। মান্নান এখন গিয়াসের সঙ্গে সমযোতা না করলে হয়তো সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি জাফরের হাতে তুলে দিতে পারে গিয়াস। এমন আতংক সৃষ্টি করে গিয়াস, জাফর ও খোকনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি গঠনের অপপ্রয়াস চলছে।
নেতাকর্মীরা আরো জানান, দীর্ঘদিন পর আগামী ১৭ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন জেলা বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন সেটা হলফ করে বলা যায়। তবে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে চলছে ভিতরগত নানা রকম রাজনীতি অপরাজনীতি। কমিটির বর্তমান সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে মেকানিজমের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক বানাতে কাজ করছে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির অংশ। যেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে মাসুকুল ইসলাম রাজীব ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে সম্মেলনে ভোটাভুটির দাবি করে বসে আছেন।
এদিকে রাজীব যখন অটল ভোটাভুটির জন্য, তখন এমন অবস্থায় জেলা বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন থানা/উপজেলার বেশক’টি কমিটি রদবদলের চেষ্টা চলছে। কারন বর্তমান কমিটিগুলোর নেতাদের সিংহভাগ ভোট রাজীবের বাক্সে যাবে সেটা প্রায় নিশ্চিত। কমিটি রদবদল করতে না পারলে সেক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির কাউন্সিলরদের প্রলোভন ও টোপের মুখে ফেলে খোকনের পক্ষে ভোট আদায়ের চেষ্টা করা হবে। এরি মাঝি রাজীবকে ঠেকাতে শুধু মেকানিজম নয়, রাজীবকে ঠেকাতে পালিত গণমাধ্যমকে লেলিয়ে দিয়েছে একটি পক্ষ। অপপ্রচার করে রাজীবকে বিতর্কিত করে জেলা বিএনপির সম্মেলন থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র চলছে রাজীবের বিরুদ্ধে। এদিকে দলের নেতাকর্মীদের দাবি- দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ বিএনপির কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে হতে হবে এবং কেউ ভোটে গেলে ভোটাভুটির মাধ্যমেই নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে হবে।