নৌকা ডুবিয়ে আ’লীগের শীর্ষ পদে বাবু, বাতেনের চোখের জলে সামসুও নেতা!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা। আর সেই দলটির প্রধান হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা মার্কাকে ডুবিয়েছেন আরিফ মাসুদ বাবু ও সামসুল আলম সামসু। দুজনেই নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করে নৌকাকে ডুবিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নৌকার বিরোধীতা করা এই দুই চেয়ারম্যানকে পুরস্কৃত করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ ২৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া প্রকাশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। যা অনুমোদনের জন্য জেলার নেতাদের হাতে জমা দেয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর তুমুল সমালোচনার মধ্যে পড়েছে দলটি।

কমিটিতে সভাপতি পদে শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমকে বহাল রাখা হয়েছে। তবে এই কমিটিতে আরিফ মাসুদ বাবুকে সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছে। বাবু মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হোন। নির্বাচনে তিনি নৌকাকে ডুবিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। ওই সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। অথচ সেই বাবুকে পুরস্কৃত করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যেখানে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা, সেখানে তাকে সম্মানিত করা হলো। শেখ হাসিনার নৌকা ডুবিয়ে বাবু এখন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদের শীর্ষ নেতা। ওই নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করার অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম নান্নুকে যুগ্ম সম্পাদক ও মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন আব্দুল বাতেন। ওই নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন ইউসুফ দেওয়ান। জাতীয় পার্টির নেতা হলেও নৌকার বিরোধীতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন সামসুল আলম সামসু। যার মধ্যে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে ইউসুফ দেওয়ান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদে আছেন সামসুল ইসলাম সামসুও। নির্বাচনের পর নৌকার প্রার্থী গণমাধ্যমে এসে চোখের জল ফেলে নৌকার ভরাডুবির জন্য আওয়ামীলীগের নেতাদের দায়ী করেন। নৌকার প্রার্থীর চোখের জলের উপর সামসু এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা। ইউসুফ দেওয়ানও হয়েছেন পুরস্কৃত। এই সামসু আড়াইহাজারে গিয়ে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগকে নিয়ে কটাক্ষ করেও নানা মন্তব্য করেছিলেন। এ ছাড়াও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া এক সময়ের বিএনপি নেতা মাহাবুব হোসেন সরকারও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। সারাদিন জাতীয় পার্টির সঙ্গে যার ওঠাবসা সেই মাহামুদা আক্তার ফেন্সিও হয়েছেন সদস্য।