সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে একটি মামলায় আত্মসমর্পন করে জামিন পেয়েছেন ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আলমগীর হোসেন। জামিন পেয়ে কোর্ট থেকে বের হওয়ার পথে মামলার বাদী ওই ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার আমিন হোসেন ও তার বাহিনীর লোকজন নিয়ে আসামীর উপর হামলা চালিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছেন। ১৯ জুন সোমবার দুপুর নারায়ণগঞ্জ কোর্ট প্রাঙ্গনে গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
রক্তাক্ত জখম আলমগীর হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, গত ১৬ জুন শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বারদী ইউনিয়ন বারদী বাজার মসজিদ গলিতে আলমগীর হোসেনের সাথে বারদী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আমিন হোসেনের গরুর হাটের ইজারা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির কার্যালয় নিজেই ভাংচুর করে এবং আলমগীর হোসেনকে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ১৮ জুন সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১৯ জুন সোমবার নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় কোর্টের গেটের বাইরে আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী আলমগীর মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে তার সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এদিকে জানাগেছে, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন আলমগীর হোসেন। তার উপর হামলা ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
অন্যদিকে বারদী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আমিন হোসেন মামলায় অভিযোগ করেন- বারদী বাজার বটতলা এলাকায় ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাংচুর চালায় আলমগীর হোসেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গরুর হাটের ইজারা নিয়ে আলমগীর হোসেন ও আমিনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের জের ধরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় জাপা কার্যালয়ের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
মামলায় অভিযোগ-তর্ক বিতর্কের জের ধরে রাত ১০টার দিকে বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে জাইদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, মুজিবুল্লাহ, আক্কাস আলী, সাইফুল ইসলাম, স্বপন মিয়া, সালাউদ্দিনসহ ১৫-২০জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা, রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, ছেনা, হকিস্টিক নিয়ে জাপা কার্যালয়ে হামলা করে। হামলায় জাপা কার্যালয়ের চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা।
বারদী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আমিন জানান, কোরবানীর গরুর হাটের ইজারা নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে আলমগীরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫জন এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাংচুর করে।
অভিযুক্ত আলগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গরুর হাট নিয়ে আমাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। তবে অফিস ভাংচুরের বিষয়টি সত্য নয়। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ মামলা দিয়েছে।