সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা সদর রোড এলাকায় আইনজীবী সিকদার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায় ওই হামলায় তিন নারী হামলাকারী সহ অন্তত ৭/৮ জন দুষ্কৃতকারীরা আইনজীবীকে রাস্তায় টেনে হেছড়ে হেনস্থা অপমান অপদস্থ করছে। হামলাকারীদের একজন ইট হাতে বেশকবার ওই আইনজীবীর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করছেন। হামলা চালিয়ে আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে টানাহেছড়া করছে।
জানাগেছে, গত ২২ জুন সিকদার মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় অ্যাডভোকেট সিকদার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের উপর কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। ৭/৮জন হামলাকারী সন্ত্রাসী স্টাইলে ওই আইনজীবীকে টানাহেছড়া করছেন। অন্যরা শারীরিকভাবে আঘাত করছেন এবং মুসা সিকদার নামের একজন হামলাকারী বেশকবার ইট হাতে আইনজীবীর মাথায় আঘাত করতে তেরে যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে রাস্তায় ওই আইনজীবীকে ফেলে দিয়ে হামলাকারীরা মারধরও করেন।
এদিকে ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, অ্যাডভোকেট সিকদার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ২০২৩ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী হোন। তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট হনুফা ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে আইন পেশায় সুনামের সহিত নিয়োজিত রয়েছেন।
হামলার শিকার পরিবারটি জানায়, আইনজীবী দম্পত্তির পরিবার পটুয়াখালী দশমিনা সদর রোড এলাকায় একটি বহুতল ভবনে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। ওই ভবন নির্মাণ করায় স্থানীয় ভূমিদস্যূরা চাঁদা আদায়ের জন্য ভবন নির্মাণে বারবার বাধা দিয়ে আসছিলো। চাঁদা না দেয়ায় মার্কেটের জমিতে ভূয়া ওয়ারিশ বানিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তাতেও চাঁদা না দেয়ার ফলে গত ২২ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ওই মার্কেটের সামনে সিকদার সাইফুল ইসলামকে একা পেয়ে মজিবুর রহমান, আবুল কালাম মহল্লাদার, ফিরোজ মহল্লাদার, ইসমাইল, ইউনুছ সিকদার ও মুসা সহ অন্যান্য দুষ্কৃতকারীরা এই হামলা চালায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আইনজীবীকে উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তবে হামলার দুদিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আইনজীবীর পরিবার।
অন্যদিকে আইনজীবীর উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ভিডিওটি ফেসবুকে প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। যে কারনে সারাদেশে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি কমেন্টস করেন। আইনজীবী সমাজেও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনজীবীরাও ভিডিওটিতে কমেন্টস করে হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।