সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। হামলায় তার একটি চোখ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এই ঘটনায় আইনজীবী সমাজে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠেছে। কারন তিনি ফতুল্লা থানা বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনা সূত্রে, ৩০ জুন শুক্রবার সকাল ভোরে ফজরের নামাজের পর ফতুল্লা থানাধীন তল্লা এলাকায় নিজ বাসভবনের সামনে অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়ার উপর সন্ত্রাসী এ হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে বারী ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের থানায় গিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আযম তাৎক্ষণিক ভাবে ফতুল্লা থানার এসআই গিয়াসউদ্দিন’কে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে আসামীদের মধ্য থেকে আবু তাহের নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে বারী ভূঁইয়া জানান,
আমার এলাকার রাজউক এর সাবেক কর্মচারী অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক ফতুল্লা থানাধীন দক্ষিণ কায়েমপুর এলাকার আসামী নজরুল ইসলাম সরদার, আসামী নজরুল ইসলামের মেয়ের জামাই সজিব ওরফে জুয়েল, আসামী নজরুল ইসলামের ভায়রার ছেলে সাকিব, রবিন, নাঈম, নজরুল ইসলামের ভায়রার ছেলে সানজিদ সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জন ৩০ জুন শুক্রবার সকাল অনুমান সোয়া পাঁচটায় আসামী নজরুল ইসলাম সরকার ও আসামী আবু তাহেরের পূর্ব পরিকল্পনা মােতাবেক বায়তুল আকসা মসজিদে ফজরের নামাজে শেষে আমার বাড়ীর সামনে পায়চারী করা অবস্থায় ২৯ সিরিয়ালের সাদা রংয়ের প্রাইভটকার যোগে আসিয়া আসামী সজিব, জুয়েল আমার পথরোধ করে আসামী নজরুল ইসলাম সরকারের মেয়ে ডালিয়া (২৬) গাড়ীতে থাকিয়া আমাকে দেখাইয়া দেয়। আসামী সজিব ওরফে জুয়েল হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলা চাপিয়া ধরিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে সারা শরীরে কিল ঘুষি মারিয়া আহত করে। আসামী নাঈম আমার চক্ষু নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমার ডান চোখে ঘুষি মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আসামী রবিন ও সাকিব আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য এলােপাথারীভাবে ডান চোখসহ কপালে, ঠোটে, থুতনীতে, আসামী সানজিদ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিডনি বরাবর ঘুষাইয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আসামী সজিব আমার পকেটে থাকা পঞ্চান্ন হাজার টাকা ছিনাইয়া নিয়া যায় এবং এই বলে হুমকি দে যে নজরুলের অপকর্মের বিরােধিতা করা যাইবেনা। আসামী সজিব ওরফে জুয়েল আমাকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয় এবং এলাকায় বসবাস করিতে হইলে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। এলাকাবাসী আগাইয়া আসিলে আসামী সজিব জুয়েল আসামী নজরুল ইসলাম সরকারের সাথে মােবাইলে কথা বলতে বলতে নজরুল ইসলাম সরকারের বাড়ীতে আত্মগােপন করে।
উল্লেখ্য যে, জাল সাটিফিকেট ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারনে ১/১১ সময়ে আসামী নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং চাকুরীচ্যুত হয়। গত ১৮/০৬/২০২৩ইং তারিখে আসামী নজরুলের ভায়রা নাসিম ওরফে নাসির (৫৩) পিতামৃত- শাহাদাৎ হোসেন ৭ (সাত) বৎসরের কন্যা শিশুকে ধর্ষনের কারনে উপরােক্ত বিষয়ে আসামী নজরুল ইসলাম সরকার আমাকে সন্দেহ করিত বিধায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উক্ত ঘটনা ঘটায় অথচ এই সম্পর্কে আমি জড়িত নই। জাল সার্টিফিকেট এবং অবৈধ সম্পদের তথ্য রাজউকের কর্মচারী আসামী নজরুল। মেয়ের জামাই সজিব ওরফে জুয়েল (৩৫), (নীট কনসান এর কর্মচারী), ৩ আসামী নজরুল ইসলামের আরেক জামাতা আবু তাহর (৪২), পিতামৃত- মকবুল সারেং ঘাড়ের পিছনে কিল ঘুষি মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে সিরিয়ালের সাদা রংয়ের গাড়িটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ফতুল্লা থানার মামলা নং ৫৩(৬)২০২৩ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১)- এ জেল হাজতে আছে পরকিয়া করিয়া বিয়ে করায় রাজউকের কর্মচারী মােতালিবের তথ্যের কারনে নজরুল চাকুরীচ্যুত হয়।