সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কারাগারে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন’ সংগঠনের ব্যানারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির আইনজীবীদের ছিল ব্যাপক অংশগ্রহণ। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচির আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি সংগঠনটির সভাপতি।
২৭ এপ্রিল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টনস্থ বিএনপি অফিসের সামনে প্রতীকী অনশন করেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের ব্যানারে শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এ প্রতীকী অনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনশনে দেড় শতাধিক আইনজীবী অংশ নিয়ে অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, রাজপথ উত্তপ্ত করতে না পারলে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে কেন আন্দোলন হচ্ছে না। রাজপথ কেন উত্তপ্ত হচ্ছে না? আজ তিনি অত্যন্ত অসুস্থ্য। তারপরও আমরা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসুন রাজপথ দখল করুন। রাজপথ উত্তপ্ত না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।’
বিএনপির নির্বাচিত এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ৬ জন এমপি হলেন কিভাবে? সরকারের করুণা না হলে আপনারা এমপি হতে পারতেন না। আর এখন একের পর এক পার্লামেন্টে যাচ্ছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, সংগঠনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমেদ বাদল, সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদী, অ্যাডভোকেট ফিরোজ শাহ, সুপ্রীম কোর্ট ইউনিটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী আশ্রাফী, অ্যাডভোকেট মোঃ আনিছুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট ওয়াছিল উদ্দিন বাবু ও অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুল আলম।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন – অ্যাডভোকেট মুক্তার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু-আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান খান খোকা, অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ শরিফুল ইসলাম শিপলু, অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল, অ্যাডভোকেট মোঃ গোলাম হোসে, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট মোঃ মইনুল হক, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান সুমন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন মন্ডল, অ্যাডভোকেট নাছিরউদ্দিন খান স¤্রাট, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম, অ্যাডভোকেট আবদুল কুদ্দুস, অ্যাডভোকেট এএইচ এম নাছির আলী, অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব রিটন, অ্যাডভোকেট শফিউর রহমান শাফি, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান দুলাল, অ্যাডভোকেট গোলাম রসুল বকুল, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান সেলিম, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা, অ্যাডভোকেট মোঃ জামান ও অ্যাডভোকেট শহিদ সারোয়ার প্রমুখ।