সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এই সরকার বিএনপিসহ এদেশের মানুষের রক্ত নেওয়া শুরু করেছে। আমার ভাই লক্ষ্মীপুরের সজীব হোসেনকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে। গতকাল আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। এই সরকারের পেটুয়া বাহিনী ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডাবাহিনীরা তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধা দিয়েছে। তারা বাঁধা দিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি। সজীবের রক্তে রাজপথ লাল করেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। নেতাকর্আমীদেরকে আহত করা হয়েছে এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আজকের শোক রেলিং থেকে সরকারের ঘৃনিত ঘটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
লক্ষীপুরে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের গুলিতে কৃষকদল নেতা সজীব হোসেন হত্যার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীতে কালো পতাকা হাতে নিয়ে শোক র্যালি করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। এসময়ে সভাপতির বক্তব্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল চারটায় নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে এই শোক র্যালি শুরু করে মহানগর বিএনপি। শোক র্যালিটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রো মোড় ঘুরে মিশন পাড়া দিয়ে চাষাড়া চত্বরে ঘুরে বিবি রোড় দিয়ে দুই নং রেলগেইট ও ডিআইটি হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিআইটি বিএনপির পুরোনো পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
তিনি বলেন, অবিলম্বে এক দফা মেনে নিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ছেড়ে দিন। আজকের এই সভা থেকে বলতে চাই যদি আপনি না নামেন আমরা রক্ত দিতে শিখেছি। নারায়ণগঞ্জে অনেক রক্ত দিয়েছে। গতকাল লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজীব রক্ত দিয়েছে। প্রয়োজনে আরও রক্ত দিব তারপরও এই সরকারকে গণতন্ত্রের পক্ষে আনতে বাধ্য করবো। আমরা চাই জনগণের ভোটের অধিকার। এই ভোটের অধিকারী সরকারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে না। এই সরকার দেশকে লুটেপুটে পনেরো বছরে তারা অবৈধ সম্পদের পাহাড় করেছে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। আজকে দেশকে আবারো তলাবিহীন ঝুড়িতে তারা পরিণত করেছে। কোন চলতা চুরি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। জনগণের অধিকার দাবিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের জনগণ যখন যেটা চেয়েছে তারা তা সেটা আদায় করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ঢাকাতে যে নির্বাচন হয়েছে সে নির্বাচনে ১১% মানুষ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৯% মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তার মধ্যে এই বোঝা যে ১০০% এর মধ্যে মাত্র ৯% মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। আর ৯১% মানুষ এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির ৩৯টি দল যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটা কিন্তু দলের ঐক্যবদ্ধতা নয় এটা দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধতা। এই ঐক্যবদ্ধতা মাধ্যমে বিপ্লব ঘটবে সেই বিপ্লব জনগণের বিপ্লব সে বিপ্লবকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে এই সরকারকে সজীব হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। এই সভা থেকে আমরা একটা দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে এক দফা মেনে নিয়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি আপনাকে মানতে বাধ্য করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় শোক র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, বরকত উল্লাহ, শাখায়াত ইসলাম রানা, শাহিন আহমেদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বিএনপি নেতা সরকার আলম, শেখ সেলিম, চঞ্চল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু , দুলাল হোসেন, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, কলাগাছিয়া গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।