সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল আমিন সিকদার। তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ২৯ জুলাই শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপি। ওই সময় শহিদুল ইসলাম টিটু সহ আরো বেশকজন পুলিশের গুলিতে আহত হন।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মহানগর বিএনপি অভিযোগ করেছে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ওই সময় সাখাওয়াত হোসেন খানকে অমানবিক নির্যাতন করে বেশকবার মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ। পুলিশের বেদম লাঠিপেটায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়াও ওই সময় সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান সহ ৫জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। যাদের মধ্যে গুরুত্বর আহত হয়েছেন সাগর প্রধান।
জানাগেছে, ২৯ জুলাই শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমলাইল মোড় এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ওই সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত হয়েছেন বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়ে।
কর্মসূচির শুরুতেই পুলিশ সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর লাঠিচার্জ করে টেনে হেছড়ে নির্যাতন করে মাটিতে ফেলে দেয়। এভাবে তার উপর কয়েক দফা নির্যাতন করা হয়। ওই সময় সাখাওয়াত হোসেন খানকে রক্ষা করতে গিয়ে লাঠিপেটার শিকার হোন আনোয়ার প্রধান ও সাগর প্রধান সহ আরো এক কর্মী। তাদেরকেও আটক করে পুলিশ। সাগর প্রধানের পায়ে আঘাত পান। এতে তিনি দাঁড়াতেই পারছিলেন না। তিনি ওই সময় কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন তার পায়ের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু তারপরেও পুলিশ তাকে বসতে দেয়নি। সাগর প্রধানও মাটিতে পড়ে যান।
বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা। তিনি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এছাড়াও গুরুত্বর আহত হয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ।