সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসূফ খান টিপু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গুন্ডা বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবাদে আজকের সমাবেশ। গত ২৯জুলাই আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছি তখন সরকারের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগরসহ ৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩১ জুলাই সোমবার বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশে সঞ্চালনায় কালে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বলতে চাই- এ দেশটা কি আপনার বাবার একার? এ দেশটা আমাদেরও। আওয়ামীলীগারদের বলতে চাই- দেশটা কি তোমাদের একাই? তোমরা কি নারায়ণগঞ্জে বসবাস করো না? আমি কি বসবাস করি না?
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় বেতন পান, আপনারা আওয়ামীলীগের নেতাদের, এমপিদের কথা শুনে যদি বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেন তাহলে অবশ্যই প্রতিবাদ করবো, আর প্রতিবাদ করতে গেলে যদি নির্যাতন করে তাহলে অবশ্যই প্রতিরোধ করবো।
পরে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগরসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে মিছিলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য মাহামুদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, বিএনপি নেতা সরকার আলম, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম সরদার, কাজী নাঈম, মহিউদ্দিন শিশির, আবুল হোসেন রিপন, সাইফুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল,মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার,মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।