সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আন্দোলনের দিন রাজপথে না থাকলেও এর প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন রথিমহারথি বিএনপির নেতারা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকাটি জেলা বিএনপির আওতাধীন। সেই সাইনবোর্ড এলাকা থেকে কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এলাকা। এই এলাকার বাসিন্দাও জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল হাই রাজু সহ বহুল আলোচিত বিএনপি নেতারা।
গত ২৯ জুলাই সেই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার শিমরাইল গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ব্যাপক পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়র প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান সহ বেশকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। সাখাওয়াত, আনোয়ার প্রধান ও সাগর প্রধানকে বেদম প্রহার করে পুলিশ। পুলিশের লাঠিচার্জ ও টানাহেছড়ায় সাখাওয়াত বেশকবার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যান। অমানবিক নির্যাতনের শিকার হোন তিনি।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ কান টিপু সহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হোন। ওইদিন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সোনারগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি ছাড়া জেলা বিএনপির আর কোনো শীর্ষ নেতাদের ছায়াও দেখা যায়নি। ঢাকাতেও কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর পুলিশের এমন নির্মম অত্যাচার চলে। যার দরুণ সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এমন পরিস্থিতিতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে। ২৯ জুলাই অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন সহ জেলার রথিমহারথি অনেক নেতাদের দেখা যায়নি। অথচ ৩১ জুলাই জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সেইসব রথি মহারথি নেতাদের দেখা গেলো। আন্দোলনের দিন এসি রুসে, প্রতিবাদে সভায় বক্তৃতায় সোচ্চার!
জানাগেছে, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিন অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডের পাসপোর্ট অফিসের সামনে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা বিএনপির এই প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েমকে দেখা গেছে। এসব নেতাদের কেউই সেদিন ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলেন না। অথচ ওইসব আন্দোলনে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসে ঝাঁঝালো বক্তৃতা দিয়েছেন।