সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রয়াত মহানগর বিএনপির সদস্য মাহামুদুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, গত ২৮শে জুলাই মাহমুদুর রহমানসহ আমরা একসাথে ঢাকা কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। একসাথে বয়সে চাও খেয়েছিলাম। সেই ছবিগুলো এখন দেখলে আমার ভিতরটা যেন কেমন করে অন্তত খারাপ লাগে। একজন হাস্যকর সদলোপি ও দলের জন্য নিবেদিত প্রান ছিলেন মাহমুদুর রহমান।
শনিবার (৫ আগস্ট) বাদ আছর মহানগরীর মিশনপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রয়াত মাহামুদুর রহমানের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও শোক সভা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
এসময়ে প্রয়াত মাহামুদুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, মিছিলের পূর্বে হঠাৎ করে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা সাথে সাথে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠাই। এর কিছুক্ষণ পরেই আমরা শুনতে পেলাম মাহমুদুর রহমান আর দুনিয়াতে নেই। সাথে সাথে আমরা সবাই গিয়ে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে হাজির হই। সাথে সাথে আমরা তার বাড়িতে খবর পাঠাই। তার সন্তানরা এসে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় এরপর রাতে জানাজা শেষে তার দাফন কাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে কিন্তু মাহমুদুর রহমান প্রাণ দিয়েছেন। আমি কামনা করি মাহমুদুর রহমান শহীদের মর্যাদা পাবেন। এই শোকসভা থেকে আমি একটি কথাই বলতে চাই মাহমুদুর রহমান দলের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। আমরা যারা আছি মাহমুদুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেই দলের জন্য কাজ করবো। দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবো। দেশের মানুষের ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। আজকের এই শোকসভা থেকে আমি মাহমুদুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিল ও শোক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বরকত উল্লাহ, শাখায়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বিএনপি নেতা শেখ সেলিম, নাজমুল হক, আবুল হোসেন রিপন, সাইফুল ইসলাম বাবু, দুলাল হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাতা আলম রতন, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।