সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসাবে কাজি আবুল কাশেমকে নির্বাচিত করা হয়েছে। স্কুলের দাতা সদস্য মো: বিল্লাল হোসেন সভাপতি প্রার্থী হিসেবে শক্ত ভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকলেও একপর্যায়ে কাশেমকে সমর্থন দিয়ে সভাপতি প্রার্থী থেকে সরে দাড়ান। বিল্লাল হোসেন মহত্বের পরিচয় দেয়ায় খুব সহজেই আবুল কাশেম সিলেকশনে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। তবে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটনের ভূমিকায় কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই স্কুলের সভাপতি পদের নির্বাচনের কার্যক্রম শেষ হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে মুসলিমনগর কেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়।
এদিকে স্কুলের শিক্ষিকা রোমানা ফৌজিয়া দুলারীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আলোচিত সমালোচিত ব্যক্তি এমএ মান্নানকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মান্নান তার পুরনো প্রেমিকা দুলারিকে তার স্বামীর ঘর থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু মান্নান হজ্ব পালন শেষে দেশে এসে একদিন পর স্কুল শিক্ষিকা দুলারিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় নারী কেলেংকারী অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী। নারী কেলেংকারী ঘটনায় তাকে দলীয়ভাবেও বিষোদগার করা হয়।
আর নারী কেলেংকারী ঘটনায় এমএ মান্নানকে স্কুলের সভাপতি থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর এই পদটা শুন্য হয়ে যায়। আর সভাপতি হওয়ার জন্য কাজি আবুল কাশেম ও স্কুলের দাতা সদস্য বিল্লাল হোসেন প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। তারা দুইজনই সভাপতি হওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। এমনকি ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চায়। স্কুলের সভাপতি নিয়ে এলাকায় কয়েকদিন ধরে চলে আলোচনা সমালোচনা। স্কুলের সার্থে ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং একজন যোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি হিসাবে নিবর্বাচিত করার জন্য এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন দায়িত্ব নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন সহ আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হবে।
আর সকালে এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন স্কুলে হাজির হন। তখন উপস্থিত হন স্থানীয় সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ, আলী হোসেন সরদার, আবু সালেহ, কাজি আবু কালাম, আবু কালাম আজাদ, আব্দুল বাতেন, ইঞ্জিনিয়ার নিজাম সহ এলাকার যুব সমাজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম ইব্রাহিম, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যরা।
পরে আলোচনার মাধ্যমে বিল্লাল হোসেন কাজি আবুল কাশেমকে সমর্থন করে নিজের প্রার্থীতা থেকে সরে আসেন। আর সভাপতি হিসাবে আবুল কাশেম নির্বাচিত হন। তখন আবুল কাশেম বিল্লালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন বিল্লাল ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহবান করেন এবং স্কুলের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে নবাগত সভাপতিকে পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া মান্নানের কেলেংকারী বিষয়ে আলোচনা করেন আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান। পরে সভাপতি আবুল কাশেমকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পাশি পাশি বিল্লাল হোসেনকেও ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে ক্ষনিকের বিরোধের সমাধান ঘটায়।