বিএনপির কর্মসূচিতে জোসেফ বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা, পুলিশের মামলায় যারা আসামী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে না পাওয়ায় যুবদল নেতা কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফের অনুগামীরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে প্রধান সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহন ভাংচুর, জনমনে আতংক ও ত্রাস সৃষ্টিসহ সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খানকে প্রধান আসামী করে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০/৩০০ জনকে। তবে মামলা থেকে বাদ যায়নি হামলার ঘটনার নেপথ্যের প্রধান কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফও।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টীমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনা সূত্রে, গত ৩০ আগস্ট বুধবার বিকালে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। এসময় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে কর্মসূচি শুরুর দিকে বিকেল ৪টার দিকে লাঠি-সোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মহানগর যুবদলে পদবঞ্চিত মাজাহারুল ইসলাম জোসেফের বাহিনী। এসময় তারা নেতাকর্মীদের এলোপাথারী লাঠিপেটা করে এবং ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে এবং মাইক ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। পরে ব্যাটারী চালিত একটি স্কুটারসহ নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় পথচারী, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

দলীয় সূত্রমতে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ঘোষিত কমিটির শীর্ষ পদে স্থান পায়নি মহানগর যুবদল নেতা মাজারুল ইসলাম জোসেফ। এ নিয়ে সে এবং তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়। এবং মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের সমর্থনে ছিলেন, মহানগর বিএনপি, মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা।

এদিকে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন খান, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরন, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ মিঠু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শিশির, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী শহিদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির সদস্য মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক সিকদার, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, যুবদল নেতা কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ ও জেলা যুবদল নেতা ইসমাইল খান সহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।