সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৭জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, গত ২৯ আগষ্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালনকালে মহানগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালায়। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন প্রকৃত হামলাকারীদের আড়াল করে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । অবিলম্বে এই সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
আসামি হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াকসহ ৩৭জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকালে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। এসময় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে বিকাল ৪টার দিকে লাঠি-সোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মহানগর যুবদলে পদবঞ্চিত মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ সমর্থকরা। এসময় তারা নেতাকর্মীদের এলোপাথারী লাঠিপেটা করে। এবং ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে এবং মাইক ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। পরে ব্যাটারী চালিত একটি স্কুটারসহ নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় পথচারী, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মফিজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০/৩০০ জনকে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, থানার উপপরিদর্শক মফিজুর রহমান বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টীমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।