সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার হাতের মেহেদি মুছে যাওয়ার পূর্বেই যৌতুকের জন্য নববধূকে কুপিয়ে যখন করলো পাষণ্ড স্বামী। এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ অক্টোবর উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের কালাপাহাড়িয়া এলাকায়। এ ঘটনায় নববধূর বাবা বাদী হয়ে ২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুই মাস পূর্বে উপজেলার কালাপাহাড়ি ইউনিয়নের কালাপাহাড়িয়া গ্রামের আসাব আলীর ছেলে আশিকুল (২৫) এর সাথে রাধানগর গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৮) এর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের জন্য আলাউদ্দিন নগদ ২ লক্ষ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণ এবং ১ লক্ষ টাকার ঘরের ফার্নিচার যৌতুক হিসেবে প্রদান করেন। বিয়ের কিছুদিন সুখের কাটলেও গত একমাস যাবত লামিয়ার স্বামী আশিকুল তার শাশুড়ি সাজেদা বেগম এবং শশুর আসাব আলী আরো দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য নববধূ লামিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
৩০ শে অক্টোবর শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় স্বামী আশিকুল এবং শশুর, শাশুড়ি লামিয়াকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলে লামিয়া ওই টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে তারা তাকে মারতে শুরু করে এক পর্যায়ে স্বামী ধারালো দা দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় স্বজোরে কোপ দিয়ে আহত করে ঘরের ভিতরে আটকে রাখে। লামিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পেয়ে তার বাবা আলাউদ্দিন পরদিন রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জামাতা আলাউদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে লামিয়া কোথায় আছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা তালবাহানা শুরু করে। এ সময় লামিয়ার বাবা ঘরের ভিতর থেকে লামিয়ার চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পান তখন তিনি আশেপাশের লোকজনের সহায়তায় লামিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি এমদাদুল ইসলাম তৈয়ব স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, অভিযোগটি কালাপাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।