অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সোনারগাঁয়ের মান্নান, দ্বিতীয় কায়সার!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) সংসদীয় আসনে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। বর্তমান সময়ে সোনারগাঁও আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনী প্রস্তুতিতে থাকা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শীর্ষ ১০ নেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলাইন জরিপ চালানো হলে সেই জরিপে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করেন মান্নান। যেখানে জনপ্রিয়তার তলানিতে রয়েছেন খন্দকার আবু জাফর। তবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।

সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জের অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ এর সান নারায়ণগঞ্জ ফেসবুক গ্রুপে সোনারগাঁয়ের শীর্ষ ১০জন রাজনৈতিক নেতার ছবি ও নামে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে চলা ওই অনলাইন ভোটিং এ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পান মান্নান।

এখানে উল্লেখ্য যে, এই জরিপ শুধুমাত্র ‘সান নারায়ণগঞ্জ’ ফেসবুক গ্রুপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এটা কোনোভাবেই সোনারগাঁয়ের সকল ভোটারদের প্রকৃত জরিপ নয়। এটা অনলাইন ভোটিং মাত্র। বলা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে কার পক্ষে মতামত বেশি সেটাই মাত্র যাচাই করা।

গত ৪ অক্টোবর বুধবার সকাল থেকে এই অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম চালানো হয়। সান নারায়ণগঞ্জ ফেসবুক গ্রুপে পুল ভোটিং এ লেখা হয় যে, “নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে আগামী নির্বাচনে কাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান?” এই প্রশ্নের সাথে সোনারগাঁয়ের শীর্ষ দশজন নেতার ছবি ও নাম প্রকাশ করা হয়। যাদের মধ্যে ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর।

ওই ২৪ ঘন্টায় ভোটিং কার্যক্রমে মোট ৬০৪ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভোট প্রদান করেন। যেখানে একটি ভোটও পাননি খন্দকার আবু জাফর এবং দশজন নেতার কাউকেই না কিংবা অন্যান্য অপশনে অর্থাৎ ‘না’ ভোট দিয়েছেন ৪জন ভোটার। যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন মান্নান। তিনি মোট ৪৫৬ ভোট পেয়ে শীর্ষ অবস্থানে।

কায়সার হাসনাত ৭৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। ২৭ ভোট পেয়ে রেজাউল করিম তৃতীয় অবস্থানে এবং ২১ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে লিয়াকত হোসেন খোকা। এ ছাড়াও আবু জাফর চৌধুরী বিরু ১২ ভোট পেয়ে ৫ম, সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ৬ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ, মাসুদুর রহমান মাসুম ৪ ভোট পেয়ে ৭ম, কালাম ৩ ভোট পেয়ে ৮ম, দুলাল ২ ভোট পেয়ে ৯ম অবস্থানে রয়েছেন। খন্দকার আবু জাফর একটি ভোটও পাননি। উপরোক্ত দশ নেতার কাউকেই ভোট দেননি অর্থাৎ ‘না’ ভোট দেন ৪ জন।