সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের গাড়ি ভাংচুর করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ের নেতাকর্মীরা। প্রকাশ্য দিবালোকে বিএনপির নিজ দলের নেতার গাড়ি ভাংচুর করাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে অভহিত করেছেন রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, ক্ষমতায় না আসতেই সন্ত্রাসী সৃষ্টি করছেন আজাদ। বিএনপির নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে বলছেন, আজাদ কি তাহলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করতে চায়? যদিও কেউ কেউ এমন কর্মকান্ডকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ৯ অক্টোবর সোমবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। সোমবার বিকেলেয ফতুল্লা সাইনবোর্ডস্থ পাসপোর্ট অফিসের পিছনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
ওই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন মাহমুদুর রহমান সুমন ও নজরুল ইসলাম আজাদ দুজনই। সমাবেশ চলাকালে সুমনের গাড়িটি সমাবেশের অদূরে রাস্তায় পার্কিং করে রাখা হয়। ওই সময় আজাদের লোকজন গিয়ে সুমনের গাড়িটি ভাংচুর চালায়। তবে সে সময় সুমন গাড়িতে ছিলেন না। তিনি জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে ছিলেন না। তবে গাড়ির চালক দ্রুত গাড়িটি সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মুলত তারা দুজনই নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আগামী নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি। গত নির্বাচনেও তারা দুজন প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়ন পান। তবে চূড়ান্তভাবে আজাদকে মনোনিত করা হয়। সেই নির্বাচনে অভিযোগ ওঠে সুমন নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। সম্প্রতি একটি টিভি টকশোতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু জানান, সুমনের বিরুদ্ধে মাত্র একটি মামলা হয়েছে। তাও সে মামলায় আসামী হয়ে বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো।