নির্বাচন ও মনোনয়ন কেন্দ্রীক কাজী মনির-দিপু ভুঁইয়ার রাজনীতি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিতে অন্যতম শক্তিধর নেতায় পরিনত হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। যদিও এক সময় এই প্রভাব ছিলো জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির এবং তারও আগে তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের যখন তিনি বিএনপিতে ছিলেন। বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির রাজনীতি কাজী মনির ও দিপু ভুঁইয়া বলয়ভিত্তিক রাজনীতি চলছে। যদিও তারা দুজনই নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনীতি করে আসছেন।

নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই তা্রা দুজন রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় হয়ে ওঠেন। রাজপথের আন্দোলনে তাদের ছিটেফুটেও দেখা যায়না। নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দুজন নেতা সরব হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা বিএনপির কমিটি কিংবা এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে বেশ সরব থাকেন দিপু ভুঁইয়া। এক্ষেত্রে কাজী মনিরের তেমন মাথা ব্যাথা নাই। তিনি মনোনয়ন কেন্দ্রীক রাজনীতি করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি হয়েও নিস্ক্রিয়তা ও নানা ব্যর্থতার কারনে তাকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।

তবে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি- রূপগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে গ্রুপিং ও বলয়ভিত্তিক হলেও রূপগঞ্জ ‍উপজেলা বিএনপি বেশ শক্তিশালী। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন সরাসরি দিপু ভুঁইয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেন। এক সময় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও সাধারণ সম্পাদক বাছিরউদ্দীন বাচ্চু ছিলেন কাজী মনিরের ঘনিষ্ঠজন। কিন্তু কাজী মনির জেলা বিএনপির নেতৃত্ব হারানোর পর তারা দিপু ভুঁইয়ার বলয়ে ভীড়েছেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়ার বলয়েই বেশ সক্রিয় থাকছেন গোলাম ফারুক খোকন, মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, বাছিরউদ্দীন বাচ্চু, নাসির উদ্দীন, মোশারফ হোসেন, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, আশরাফুল হক রিপন, আনোয়ার সাদাত সায়েম, মাহবুব রহমান, দুলাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন ও নাহিদ হাসান ভুঁইয়া।