অনলাইন ভোটিং জরিপ: জনপ্রিয়তায় আজাদের পেছনে বাবু ও সুমন, রসাতলে আঙ্গুর!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইন ফেসবুকে ভোটিং জরিপে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চাওয়া সমর্থকদের মাঝে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। জনপ্রিয়তায় আজাদের পেছনে এই আসনের আওয়ামীলীগের বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন। তবে ভোটিং জরিপে জনপ্রিয়তার দ্বারে কাছেও নাই এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, যেখানে ভোটিংয়ে তার আগে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার।

ঘটনা সূত্রে, অনলাইন নিউজ পোর্টাল সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ফেসবুক গ্রুপে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ৮জন নেতাকে নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে জরিপ চালানো হয়। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে প্রশ্ন রাখা হয়- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে আপনি নিচের ৮জন নেতার মধ্যে কাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান?

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মমতাজ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন ও বিএনপির মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারের নাম ও ছবি প্রকাশ করে এই ভোটিং কার্যক্রম চালানো হয়।

উক্ত প্রশ্নের জবাবে ২৪ ঘন্টার ভোটিংয়ে মোট ১ হাজার ১৩১জন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভোট প্রদান করেন। ভোটিং কার্যক্রমটি ভিজিট করেন ২ হাজার ৬শত ফেসবুক ব্যবহারকারী। ভোটিংয়ে ৮৪৯ ভোট পেয়ে প্রথম হোন বিএনপি নেতা আজাদ। এমনকি কমেন্টসে ১৪৭ জনের মধ্যে ১৪০জন ফেসবুক ব্যবহারকারী আজাদের পক্ষে সমর্থন জানান। তবে এটা কোনোভাবেই স্থানীয় আসনের প্রকৃত জনগণের ভোটের জরিপ নয়, এটা শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে জরিপ চালানো হয়। এটা প্রকৃত ভোটের হিসেব নিরুপন করে না।

তবে ১৬৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান সুমন। ৫২ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে এমপি বাবু এবং ৪১ ভোট পেয়ে ৪র্থ অবস্থানে আছেন পারভীন আক্তার। আঙ্গুর ১৪ ভোট পেয়ে ৫ম এবং ইকবাল পারভেজ ৬ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ হোন। তবে লোটন ও মমতাজ একটি ভোটও পাননি।