সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নেতৃত্বশূণ্য রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর উপজেলা যুবদল। সরকার পতনের একদফা দাবিতে চলমান আন্দোলন সংগ্রামকে আরো গতিশীল ও বেগবান করতে হলে দ্রুত বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা প্রয়োজন মনে করছেন নেতাকর্মীরা। যদিও নেতাকর্মীদের দাবি- মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতাদের মাইম্যান নয়, কিংবা ব্যক্তিগত পছন্দের বা চাটুকার নয়, যারা বিগত সময়ের আন্দোলনে রাজপথে পরীক্ষীত ও ত্যাগী তাদের হাতেই ওঠুক বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি।
পূর্বে গঠিত বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনের পর আহ্বায়ক শিশির ও সদস্য সচিব শাহিনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও বিরোধের কারনে স্থবির হয়ে যায় উপজেলা যুবদলের মুল নেতৃত্ব। এমন অবস্থায় বন্দর উপজেলা যুবদলের প্রাণ বাঁচিয়ে রাখেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট হাসান সুজন। ওই কমিটি গঠনের পূর্বে থেকেই মহানগর যুবদলের সদস্য পদে থাকাবস্থাতেই রাজপথে তুখোর ভুমিকা রাখেন তিনি।
নেতাকর্মীরা আরো জানান, মাত্র কয়েক মাস হলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতে মনিরুল ইসলাম সজলকে আহ্বায়ক, সাগর প্রধানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাহেদ আহমেদকে সদস্য সচিব। এই কমিটি গঠনের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা ও বন্দর উপজেলার কমিটি মহানগর যুবদলের আওতাধীন পরিচালিত হবে বলে ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় যুবদল।
এই ঘোষণার পর বন্দর উপজেলা ও থানায় দুটি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সজল ও সাহেদ তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের মাধ্যমে দুটি ব্যানারে কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেন। অথচ আগের কমিটির আমলে বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতৃত্ব বাঁচিয়ে রাজপথে নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলনকারী সুজনদের মত নেতাদের মাইনাসের ষড়যন্ত্র চলছে। বন্দর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নানা ব্যর্থতার কারনে যখন যুবদল নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পথে তখনো সুজন যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত করেছেন এবং রাজপথে আন্দোলন করেছেন।
ঘটনা সূত্রে, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আওতাধীন বন্দর উপজেলা যুবদলের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে তৎকালীন জেলা যুবদল। মহিউদ্দিন শিশিরকে আহ্বায়ক ও শাহীন আহমেদকে সদস্য সচিব করে বন্দর উপজেলা যুবদলের এই কমিটির অনুমোদন করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন- সম্রাট হাসান সুজন, মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম রিপন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, দেলোয়ার হোসেন শাহ্, মামুন মিয়া, মীর আব্দুর রহিম, কাউছার হামিদ খাঁন, রাসেল এনামুল হক, গোলবক্স ভূঁইয়া রাসেল ও জাহিদ খন্দকার।
এ ছাড়াও সদস্য পদে ছিলেন আশিকুর রহমান আলী, আবদুল্লাহ আল মামুন, আরিফ হোসেন, সজিব খন্দকার, নাজমুল হক, মো. মহসিন, ইমরান হোসেন ইরান, রুবেল মিয়া, তাওলাদ মাহমুদ, মো. শামীম, মো. সাঈদ, দ্বীন ইসলাম, বাবুল হোসেন, শাহজাহান মিয়া, আজিজুল হাকিম, ফয়সাল আহম্মেদ, মোক্তার হোসেন, মো. গোলাপ।
এ ছাড়াও ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ খান ও শাহাদুল্লাহ মুুকুলকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দীন মন্তু। ওই কমিটিতেও সম্রাট হাসান সুজন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও সুজন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য ছিলেন। মহানগর যুবদলের সদস্য হওয়ার পূর্ব থেকেই আজোবধি ১৫ বছর যাবত রাজপথে সক্রিয় অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কামরুল ইসলাম রনি ও ওয়াহিদ সাগর নামে যুবদলের দুই কর্মী বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন। মুলত মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত পছন্দের কারনে এ ধরণের আনাড়ি ধাচের কর্মীদের বন্দর উপজেলা যুবদলের নেতৃত্ব বসানোর চেষ্টা চলছে। যেখানে সুজনের মত ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের হচ্ছে মাইনাসের চেষ্টা। ওয়াহিদ সাগরের তেমন একটা পরিচিতিও নাই। রনি বন্দরে বসবাসও করেন না। যুবদলের রাজনীতিতেও সুপরিচিত নন।
মুলত বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটি সজল ও সাহদের পকেটবন্ধি করার লক্ষ্যেই তাদের অনুগত কর্মীদের হাতে বন্দর উপজেলা যুবদলের কমিটির নেতৃত্বে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। যে কারনে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অভিভাবক মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সুদৃষ্টি সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ত্যাগী ও পরীক্ষীত নেতারা।
