সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারাণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার লাহাপাড়া এলাকার বেলায়েত হোসেনের স্ত্রী ছাহেরা আক্তার মিতু হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সোনারগাঁও জি.আর ইনষ্টিটিউশন ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী যারা নিহত মিতুর সহপাঠি।
১ মে বুধবার সকালে সোনারগাঁও জি.আর ইনষ্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান ফটক ও সোনারগাঁ থানার সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহত মিতুর বাবা মোজাম্মেল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক ছাড়াও ২০১০ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে মিতুর বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মিতু গত ২৪ফেব্রুয়ারী দুপুর বেলা মোগরাপাড়া চৌরাস্তা যাবে বলে শশুরবাড়ী থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ময়মনসিংহ বালিপাড়া কামারিয়া ত্রিশাল থানা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি দাবি করেন- মিতুর মৃত্যু নিয়ে একটি রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে আশা করি তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মিতু হত্যার সঠিক রহস্য উৎঘাটন করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করেন, যাতে বাংলাদেশে এভাবে আর কোন মিতুর মৃত্যু না হয়। এসময় নিহতের সহপাঠিরাও মিতুর হত্যার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্যযে, গত ২৪ফেব্রুয়ারী পৌরসভার লাহাপাড়া শশুরবাড়ি থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় যাবে বলে মিতু বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ হওয়ার ২মাস পর তার স্বজনরা সোনারগাঁ থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন ময়মনসিংহ ত্রিশাল থানায় মিতুর লাশ উদ্ধার করেছে সেখানকার থানা পুলিশ।
ওই সময় মিতুর পরিচয় সনাক্ত করতে না পেরে ত্রিশাল থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে ময়মনসিংহে মিতুর লাশ দাফন করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মিতুর নিখোঁজের সংবাদ দেখে ত্রিশাল থানা পুলিশ সোনারগাঁ থানা পুলিশকে অবহিত করে। মিতুর স্বামী বেলায়েত ত্রিশাল থানায় গিয়ে মিতুর ছবি দেখে মিতুর লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
ময়মনসিংহ জেলা পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বুধবার দুপুরে সোনারগাঁ থানা ও নিহত মিতুর বাড়ি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, মিতুর পরিবারের ডিএনএ টেষ্ট করেছি। অচিরেই হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আপনাদের সামনে হাজির করতে পারব।