বিদেশে থেকেও সোনারগাঁয়ে নাশকতার মামলার আসামী বিএনপির দুই নেতা!

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রতিবন্ধকতা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। আসামিদের মধ্যে ২ জন বিদেশে রয়েছে বলে দাবি তাদের পরিবারের সদস্যদের। তবে পুলিশ বলছে, তারা হামলায় অংশগ্রহণ করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার ১৯ নম্বর আসামি মো. মোমেন খাঁন কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তিনি চলতি মাসের ১৯ তারিখ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান বলে দাবি তার পরিবারের। বর্তমানে তিনি ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর মামলার ৩২ নম্বর আসামি কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পীর মোহাম্মদ পিরুর ছেলে সালেহ মোহাম্মদ শান্ত। তিনি কাঁচপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাড়ি কাঁচপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেহাকৈর গ্রামে। তিনি চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন বলে দাবি তার পরিবারের।

তবে সালেহ মোহাম্মদ শান্ত রাজনীতিতে জড়িত নন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। যদিও তিনি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ৮৫ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। রোববার বিকেলে সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

তবে ককটেল বিস্ফোরণ বা অগ্নিসংযোগের বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা কোনো দোকানি কিছুই বলতে পারেননি। মামলার পর স্থানীয়রা ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে পারেন।

এক দোকানি বলেন, পুলিশ যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে মামলা করেছে সেখানে কোনো গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। সেখানে দুটি শব্দ শোনা যায়। পুলিশ ছাড়া সেখানে কেউ ছিল না। পরে জানা যায় সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। ফ্যাসিবাদী সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে গায়েবী মামলা দিচ্ছে। আমাদের দুই নেতা বিদেশে রয়েছেন। তারাও এ মামলায় আসামি। এতেই প্রমাণ হয় পুলিশ সরকারের পক্ষে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করতে এ মামলা দিয়েছে।’

মামলার বাদী সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিবুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। ওসি স্যার এ বিষয়ে কথা বলতে পারবেন।’

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘দুই নেতার বিদেশে অবস্থান করার বিষয়টি জানা নেই। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী মামলা হয়েছে। তদন্ত করে এমন কিছু পাওয়া গেলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

সূত্র: সমকাল অনলাইন