সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
অবরোধ পালনের নামে কয়েক মিনিটের ফটোশেসন। মাত্র কয়েক মাস পূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছিলো কেন্দ্রীয় যুবদল। মুলত বর্তমান রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে কঠোর ভুমিকা রাখার উদ্দেশ্যেই এই দুটি কমিটি ঘোষণা করেছিলো বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাশা পূরণে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল। বিএনপির ডাকা প্রথম দফায় অবরোধ কর্মসূচিতে দেখাই যায়নি জেলা ও মহানগর যুবদলকে। নামকাওয়াস্তে একদিন করে কয়েক মিনিটের তাদের মিছিলের নামে ফটোসেশন ও ভিডিও প্রচার ছাড়া আর কিছুই দেখাতে পারেনি সংগঠন দুটি।
কমিটি গঠনের পর থেকে জেলা ও মহানগর যুবদলের ৬ জন নেতার মাঝেও দেখা যায় অনৈক্য ও বিরোধ। বিরোধের জের ধরে জেলা ও মহানগর যুবদল আরো অকার্যকর হয়ে পড়ে। দুটি কমিটির মধ্যে একটিতে সদস্য সচিব ও অপর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের সঙ্গে চরম বিরোধ রয়েছে। এরি মাঝে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক তার নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের পারপাস সার্ভ করতে আজাদের পক্ষে আড়াইহাজারে গিয়ে কর্মসূচি পালন করেন তার অনুগতদের নিয়ে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজীব তার পিতা আজহারুল ইসলাম মান্নানের পারপাস সার্ভ করতে সোনারগাঁয়ের গন্ডির মধ্যেই আবদ্ধ থাকছেন।
সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে দুএকবার মিছিলের নামে ফটোসেশন করতে তাকে দেখা গেলেও সোনারগাঁয়ের বাহিরে গিয়ে জেলা যুবদলের কর্মসূচি পালনে তাকে দেখা যায়নি। একইভাবে এই দুজনের বাহিরে গিয়ে এককভাবে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে দুএকবার দেখা গেছে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে। গুটি কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে ৫ নভেম্বর রবিবার অবরোধ কর্মসূচি রনি পালন করেছেন এমন ফটোসেশন ও ভিডিও ফেসবুকে কর্মীরা প্রকাশ করেছেন। একইদিন পৃথকভাবে সাদেক ও সজীবের নেতৃত্বেও পৃথক ফটোসেশন দেখা গেলো। কমিটি গঠনের পর থেকে এই তিন নেতাকে একসাথে কর্মসূচি পালনে দেখা যায়নি।
একই দশা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলেও। কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটির তিন নেতার মাঝে নীরব মতবিরোধ দেখা দেয়। কমিটি গঠনের পর কয়েক মাস সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সঙ্গে দেখা না গেলেও বেশকটি কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়। তবে সাগর প্রধান পূর্বের ন্যায় বৃহত্তর নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে না নামার কারনে মহানগর যুবদলের আন্দোলনে জোরালো মাত্রা নিচ্ছেনা। যোগ্য স্থানে তাকে না বসিয়ে মহানগর যুবদলের কমিটি গঠন করায় তিনি আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের গন্ডির শক্তিমত্তা দেখার অপেক্ষায়।
কালেভদ্রে সজল ও সাহেদের সঙ্গে সাগর প্রধান কর্মসূচিতে আসলেও বেশির ভাগ কর্মসূচিতে তিনি থাকছেন না। ফলে অবরোধের প্রথম দফার কর্মসূচিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় মহানগর যুবদল। সজল ও সাহেদ ছাড়াই দুএকবার ফটোসেশন করে কর্মসূচি পালন করলেও ব্যর্থ সংগঠনে পরিনত হচ্ছে মহানগর যুবদল। এর আগে হরতাল পালনে শহিদুল ও সুজনের কঠোর আন্দোলনে মহানগর যুবদলের দৃশ্য দেখা গেলেও সজল ও সাহেদের হদিস পাও্রয়া যায়নি। দ্বিতীয় দফার কর্মসূচি পালনেও মহানগর যুবদলের গুটি কয়েকজন কর্মীদের নিয়ে ফটোসেশন ছাড়া কিছুই করতে পারেনি সজল ও সাহেদ। ফলে চলমান আন্দোলন সংগ্রাম শেষে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি থাকবে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় যুবদলের নেতাকর্মীরা।