সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
পিতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে আদালতের কোর্ট গারদে। তাকে গাড়ি থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে হাতে এক কন্যা সন্তান ও কোলে আরেকটি শিশু সন্তানকে নিয়ে কোর্টপাড়ায় দৌড়াচ্ছেন এক মা ও বেশকজন নারী। মায়ের কোলে তাকা শিশুটি অঝোর কান্না করছিল। কোল থেকে নেমে পুলিশের ফাঁক দিয়েই শিশুটি দৌড়ে গেলো পিতার কাছে। পিতা শিশু কন্যাকে কোলে তুলে নিলেন।
পিতার চোখেমুখে বুকফাঁটা আর্তনাদ। শিশু কন্যাটি পিতার কোলে ওঠে আব্বু আব্বু করে কাঁদছিলো তখন। পিতার কোল থেকে শিশুটিকে ছাড়িয়ে নিতে বারবার তাগাদা দিচ্ছোলো পুলিশ। কন্যাশিশুটি বলছিলো ‘আব্বু তুমি বাসায় চলো’। অশ্রুসিক্ত চোখে শিশু কন্যাকে মায়ের কোলে তুলে দিয়ে পিতা চলে গেলো কোটের গারদ খানায়। তখন দুটি শিশু কন্যার কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। সঙ্গে কন্যাদের ঝড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকেন আসামীর স্ত্রী ও সঙ্গে আসা বেশকজন মায়ের বয়সী নারী।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ওই আসামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট হাসান সুজন। তিনি মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য ও বন্দর উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী। বিএনপির ডাকা হরতাল ও দ্বিতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালনে ব্যাপক ভুমিকা রাখছিলেন সম্রাট হাসান সুজন। প্রায় প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচিতে সরব ছিলেন তিনি। যে কারনে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে বেশকটি মামলায় তাকে আসামী করা হয়।
৪ নভেম্বর শনিবার সন্ধায় বন্দর নবীগঞ্জ ঘাট এলাকা থেকে সম্রাট হাসান সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৫ নভেম্বর রবিবার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আনা হয় সুজনকে। সোনারগাঁও থানা পুলিশের দায়েরকৃত একটি মামলায় সুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। ওই মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।