ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, রাজনীতি মনোপলির মধ্যে চলে গেছে। দ্রব্যমূল্য যারা নিয়ন্ত্রণ করছে রাজনীতিও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। প্রশাসন চলছে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মানুসিকতায়। রাজনীতি অচল অবস্থার অবসান হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটা গণমুখী হওয়া দরকার। আজ যারা রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হওয়া দরকার। সে ধরনের একটি পদ্ধতি আমাদের চালু করার দরকার। রাস্তায় বাস জ্বালানো, গাড়ি পোড়ানো এগুলো কোনো সমাধান নয়। যদি সমাধান হতো তাহলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালেই হতো। এর পাশাপাশি গণহারে গ্রেপ্তার করাও কোনো সমাধান নয়। ১২ নভেম্বর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের প্রথম কনভেনশনে এসব কথা বলেন তিনি।
জানাগেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিকশিত করার লক্ষ নিয়ে গত ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো। ১২ নভেম্বর রোববার প্রথম কনভেনশনে ১৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম অডিটোরিয়ামে দলটির প্রথম কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরামের প্রথম কনভেনশনে প্রধান অতিথির ভাষনে রাশেদ খান মেনন বলেন, আপনারা ৯০ এ একবার পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন মৌলবাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে। এখন আবার পরিবর্তনে সূচনা করছেন। আপনারা ঠিকই বলেছেন জাতীয় সংসদ এখন এলিট ব্যবসায়ীদের দখলে। সরকার বলছে দ্রব্য মূল্য সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সরকার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারছেনা। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার, দরকার নতুন নেতৃত্বের। জালাও পোড়াও কোন সমধাণ নয় আবার গ্রেফতারও সমাধান নয়, দুইটি একপেশে। এই দল নতুন রাজনীতি সূচনা করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, এবারের নির্বাচন সুখকর হবে যাবে না। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন তৃণমূল বিএনপি মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার, বিএনএম’র যুগ্ম আহবায়ক ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী।
সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি, চাকসুর ভিপি মোঃ নাজিম উদ্দিন, সভা পরিচালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক, চাকসুর জিএস আজিম উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল সেলিম, ফেরদৌস বশীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী মজুমদার, মঈনুল আহসান মুন্না, কাজী সিরাজুল ইসলাম, সদস্য: রাজীব চৌধুরী, ঊষাপ্রু মারমা, ইমরানুর রহমান, নাসিমুল গণি মামুন প্রমুখ।
আলোচনায় ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, রাজনীতি এখন পরিবারতন্ত্রে চলে গেছে। রাজনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আনতে পরিবারতন্ত্রে অবসান দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা নির্বাচনে সবাই মিলে অংশ নিব। সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমরা রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। আমরা মনে করি অবস্থার পরিবর্তনে নতুন রাজনীতি দরকার, নতুন নেতৃত্ব দরকার। স্বাধীনতার চেতনার আলোকে দল গঠন করবে।