সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকেই অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চান রূপগঞ্জ উপজেলাবাসী। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর রূপগঞ্জ রূপসী খন্দকার বাড়িতে নিয়মিত বাড়ছে লোক সমাগম। তৈমূর আলম খন্দকার নিজ বাড়িতে পা রাখলেই জমায়েত হচ্ছেন হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন। তাদের দাবি তৈমুর আলম খন্দকার আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকেই নির্বাচন করুক এবং রূপগঞ্জবাসী তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জানাগেছে, ১৭ নভেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে রূপসী খন্দকার বাড়িতে অবস্থান করেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। সকাল থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন জমায়েত হোন তৈমুর আলম খন্দকারের বাসভবনে। দলে দলে নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করেন তিনি। এ সময় স্থানীয়রা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তৈমুর আলম খন্দকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন এবং তৈমুর আলম সকলের প্রশ্নের জবাব দেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা বিষয় তিনি তুলে ধরেন।
বৈঠকে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমি এখনো নিশ্চিত নই কোথা থেকে নির্বাচনে অংশ নিবো। দু’একদিনের মধ্যে আপনাদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে রূপগঞ্জ আমার মুলভিত্তি। এখানে আমার পূর্বপুরুষদের কবর রয়েছে। রূপগঞ্জের অনেককেই চাকুরি দিয়েছি, চাকুরি দেয়ার কারনে জেল খেটেছি, যদিও সেই মামলায় খালাস পেয়েছি। যাদের চাকুরি দিয়েছিলাম তাদেরকে মারপিট করেছিলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়ার জন্য, কিন্তু তারা বলেছিলো তৈমুর আলম খন্দকার আমাদেরকে বিনা পয়সায় চাকুরি দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, রূপগঞ্জের অসহায় কৃষকদের জমি ভূমিদস্যুরা দখল করতে গেলে আমিই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভূমিদস্যুদের মালিকানাধীন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিলো। তবুও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ছিলাম এবং অসহায় কৃষক জনতার পাশে ছিলাম।
তৈমুর আলম নির্বাচনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার বেড়ে ওঠা। নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরের মানুষ আমাকে নেতা বানাইছে। তাদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তারা আমার পক্ষে ঝাপিয়ে পড়েছিলো।