সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে এখন আলোচনায় তৃণমুল বিএনপির দুই আইনজীবী প্রার্থী। যারা নারায়ণগঞ্জ জেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা তৃণমুল বিএনপি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দুটি আসনে তৃণমুল বিএনপি থেকে যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তাদের মধ্যে এই দুই আইনজীবী নেতাই বেশ হেভিওয়েট প্রার্থী। সেই হিসেবে স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন তৃণমুল বিএনপি থেকে তারাই হচ্ছেন চূড়ান্ত প্রার্থী।
তৃণমুল বিএনপির দলীয় সূত্রে, নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে তৃণমুল বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতি করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্বও দিয়েছেন দীর্ঘদিন। মুলত তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের একনিষ্ঠ বিশ্বস্থ এই ভাসানী।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে তৃণমুল বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন। তিনিও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের একনিষ্ঠ বিশ্বস্থ একজন। ছাত্র রাজনীতি থেকে তিনিও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপিতেও। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনে ভোটের নির্বাচনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। তৈমূর আলম খন্দকারের বিশ্বস্থ হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করে আসছিলেন।
তবে এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দীর্ঘদিন এমপি ছিলেন প্রয়াত জাতীয় পার্টির নেতা নাসিম ওসমান। এ আসনে ২০১৪ সালে উপ-নির্বাচনে এমপি হোন সেলিম ওসমান। তারপর ২০১৮ সালেও তিনি এমপি হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে টানা দুই মেয়াদে এমপি হিসেবে রয়েছেন একেএম শামীম ওসমান। ফলে ভিন্ন কিছু না ঘটলে সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট ভাসানী ও অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন।