সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির মনোনিত দুই প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া ও নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে অ্যাডভোকেট আলী হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) মাহমুদুল হকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
তৃণমুল বিএনপির দলীয় সূত্রে, নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনে তৃণমুল বিএনপির মনোনিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী ভুঁইয়া। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতি করেছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্বও দিয়েছেন দীর্ঘদিন। মুলত তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের একনিষ্ঠ বিশ্বস্থ এই ভাসানী।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে তৃণমুল বিএনপির মনোনিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন। তিনিও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের একনিষ্ঠ বিশ্বস্থ একজন। ছাত্র রাজনীতি থেকে তিনিও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপিতেও। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনে ভোটের নির্বাচনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। তৈমূর আলম খন্দকারের বিশ্বস্থ হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন যাবত রাজনীতি করে আসছিলেন।
তবে এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দীর্ঘদিন এমপি ছিলেন প্রয়াত জাতীয় পার্টির নেতা নাসিম ওসমান। এ আসনে ২০১৪ সালে উপ-নির্বাচনে এমপি হোন সেলিম ওসমান। তারপর ২০১৮ সালেও তিনি এমপি হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে টানা দুই মেয়াদে এমপি হিসেবে রয়েছেন একেএম শামীম ওসমান। ফলে সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট ভাসানী ও অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।