সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নৌকা ও লাঙ্গলের লড়াই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগেই। কে থাকবে আর কে থাকবে না- এমন আলোচনায় সোনারগাঁও উপজেলা সরগরম। এরি মাঝে রয়েছে শক্ত প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী এএইচএম মাসুদ দুলাল। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল। আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনায় তিনি।
জানাগেছে, গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এএই এম মাসুদ দুলালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বৈধ ঘোষণার পর পরই সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়ে যায়। তার কর্মী সমর্থকদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
নির্বাচনের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ দুলাল গণমাধ্যমে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসাবে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলাম। আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মধ্য থেকে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। এবং তিনি বলেছেন এবারের নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন করে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে আমাদের। তাই দলীয় প্রার্থীর সাথে সাথে আমিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্যদিয়ে ব্যাপক ভোটারদের উপস্থিত ও গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চত করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি দল ও আমার নেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উৎসবমুখর নির্বাচনের স্বার্থেই নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে নির্বাচনী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আমি আশা করি আমার অংশগ্রহণে সোনারগাঁয়ে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনে গণমানুষের ভোটাধিকার নিশ্চত হলে আমি জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।
এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনোনীত প্রার্থী মো: মজিবুর রহমান মানিক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আসলাম, বিএনএম মনোনীত প্রার্থী এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর মনোনীত প্রার্থী নারায়ণ দাস, মুক্তিজোটের মনোনীত প্রার্থী মো.আরিফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এরফান হোসেন দীপ, মারুফুল ইসলাম ঝলক ও রুবিয়া সুলতানা এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন।
তবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। জাতীয় পার্টি আশা করছে- যদি মহাজোট গঠিত হয় তাহলে এ আসনে নৌকার প্রার্থীতার প্রত্যাহার করানো হবে। যদিও আওয়ামীলীগের দাবি-মহাজোট হলেও এবার নৌকার প্রার্থী এখানে বহাল রাখা হবে। চূড়ান্ত ঘটনা দেখতে হয়তো ১৭ ডিসেম্বর শেষ বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।