সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মানুষ আর সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যয়ারণ্য দেখতে চায়না, ভূমিদস্যূদের কবল থেকে রক্ষা চায়। দীর্ঘ ১৫ বছরের জিম্মিদশা থেকে রূপগঞ্জের মানুষ মুক্তি চায়। যে কারণে যেখানেই তৈমূর আলম খন্দকার ভোট প্রার্থনায় যাচ্ছেন সেখানেই জনতার ঢল নামছে। তৃণমুল বিএনপির সোনালী আঁশ মার্কার পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে রীতিমত। তৈমূর আলমের পাশে কোনো মাস্তান পাতিমাস্তান মাদক ব্যবসায়ী ভূমিদস্যূ নেই। তৈমূর আলমের পক্ষে সাধারণ দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষজন সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনও রয়েছেন। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সোনালী আঁশ প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় এমন চিত্র ফুটে ওঠেছে তারাবো পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে রুপসী খাদুন এলাকায় এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওই পথসভাটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়। রীতমত পথসভাটি হয়ে ওঠে জনসমাবেশ। পরে সেখান থেকে কয়েক হাজার নারী পুরুষকে নিয়ে তারাবো পৌরসভার রূপসী সহ বিভিন্ন এলাকায় শোডাউন করে সোনালী আঁশ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তৈমূর আলম খন্দকার।
এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে গণসংযোগ করে ভোট প্রার্থনায় নামেন তৈমূর আলম খন্দকার। সকালে প্রচারণাকালে এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপির কাছে ভোট চেয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। সকালে উপজেলার খাদুন-মৈকুলী এলাকায় গণসংযোগের সময় ভোট চান তৈমূর। এ সময় মন্ত্রী গাজীও নৌকার পক্ষে তার কাছে ভোট চান।
উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তৈমূরের প্রচারণার সময় মন্ত্রী গাজী গাড়ি দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন গাড়ির কাছে গেলে গাজী জানালা খুলতেই তৈমূর কুশল বিনিময় শেষে দোয়া ও ভোট চান নিজের জন্য। এ সময় গাজীও তার জন্য নৌকায় ভোট চান।
এরপর তৈমূর আলম খন্দকার রুপসী, বকুলনগর, মালিপাড়া, খাদুন, কলাবাগান সহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে তিনি কলাবাগান জামে মসজিদে জুমা নামাজ আদায় করে মুসুল্লিদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।