সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রাজনীতির মাঠ একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রনে নিতে রূপগঞ্জ থেকে বহিরাগত গাজী হটানোর মিশনে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেটলি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া। তার মুল টার্গেটই রূপগঞ্জ থেকে বহিরাগত গাজী হটাও। মুলত গাজীকে পরাজিত করার লক্ষ্যেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন শাহজাহান। নির্বাচনে যত অভিযোগও করছেন গাজীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়রাও একজোট হয়েছেন বহিরাগত গাজীকে হটাতে। তাদের দাবি- তৈমূর বিজয়ী হলে হোক, তাতে আপত্তি নেই, কিন্তু গাজীকে তো সরানো হবে।
স্থানীয়রা মনে করছেন- এবার তৈমূর আলম খন্দকার এমপি হলেও পরের বার এখানে এমপি হওয়ার সুযোগ বাড়বে শাহজাহান ভুঁইয়ার। এ সুবাদে গাজীকে রূপগঞ্জ থেকে হটানো যাবে। পরবর্তী ৫ বছর পর এখানকার পুরো রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠবেন শাহজাহান ভুঁইয়া। এই ৫ বছরে শাহজাহান ভুঁইয়া রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগেরও নিয়ন্ত্রন নিবেন। গাজী বহিরাগত, তিনি পরাজিত হলেই রূপগঞ্জ ছেড়ে চলে যাবেন। ফলে তৈমূরের আলমের ৫ বঁছর পর এখানকার আধিপত্য থাকবে শাহজাহান ভুঁইয়ার। সে সময় তার জন্য এমপি হওয়াটাও সহজ হবে। কিন্তু গাজী আবারো এমপি হলে এখানে তার স্ত্রী ও ছেলের আধিপত্য বাড়বে, শেষ হয়ে যাবে শাহজাহান ভুঁইয়ার এমপি হওয়ার সুযোগ। ফলে গাজীকে হারাতে শাহজাহান ভুঁইয়া গচ্ছা দিবে তৈমূরকে।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে জমে ওঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও রাজনৈতিক খেলা। যেখানে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে রয়েছেন শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী। আওয়ামীলীগের ভোট নিয়ে যখন ভাগাভাগি চলছে তখন সাধারণ মানুষের মাঝে পৌছে গেছেন তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপির যেসব পরিবারগুলো ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবেন তাদের ভোট তৈমূর আলমের সোনালী আঁশ প্রতীকের বাক্সেই পড়বে এবং আওয়ামীলীগের দুই প্রার্থীর লড়াইয়ের মাঝে ভোটের লড়াইয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে তৈমূর আলমের সোনালী আঁশ।
এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী, তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের একেএম শহীদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা, হাবিবুর রহমান, জোবায়ের আলম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী নানা শঙ্কার কারনে তার ছেলে গাজী গোলাম মর্তুজাকে ভোটের মাঠে রেখে দেয়। তবে শেষতক গাজীর নৌকা প্রতীক বহাল রাখা হলেও তার ছেলে নির্বাচন ছাড়েনি। যদিও গাজী গোলাম মর্তুজা ভোটের মাঠ ছেড়ে এখন পিতার পক্ষে নির্বাচনী কাজে সময় পার করছেন। দুই পিতা-পুত্র মিলে এখন তৈমূর আলমের জয় ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। এরি মাঝে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুইয়ার মুল টার্গেট গাজীকে পরাজিত করানো। সেই কাজটি শাহজাহান ভুঁইয়া ঠিকই করে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের অনেকে মনে করছেন- মুল লড়াইটা হতে পারে তৈমূর আলম খন্দকারের সোনালী আঁশ প্রতীকের সঙ্গে শাহজাহান ভুঁইয়ার কেটলির মাঝে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন একটা লড়াই দেখছেনা স্থানীয়রা।