সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চলতি মাসের শেষ দিকে সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তবে একধাপে নয়, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। ফলে বলা যায় আগামী দু তিন মাসের মধ্যেই সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঢামাঢোলে বেজে ওঠতে যাচ্ছে। এরি মাঝে এই নির্বাচনে কার ভাগ্যে জুটছে নৌকা প্রতীক সেটা নিয়ে চলছে আলোচনা। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মাস না পেরুতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যখন সামনে চলে আসছে তখন সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। এই নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বাধা নিষেধ না থাকলে সোনারগাঁয়ে নৌকার জন্য অশনি সংকেত হতে পারে।
জানাগেছে, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনায় ওঠে এসেছিলো সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম। তবে নির্বাচনের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনায় কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানার নামটি। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি কিংবা কায়সার হাসনাত সে রকম কোনো ঘোষণা কিংবা ইঙ্গিতও দেননি। শুধুমাত্র নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন রুবিয়া সুলতানা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক দাবি করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
অন্যদিকে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন। যিনি কায়সার হাসনাতের চাচা ছিলেন। বছর দেড়েক পূর্বে তার মৃত্যুতে এখানে নৌকা প্রতীকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া। এবার সামনের নির্বাচনে কায়সার হাসনাতই হতে পারে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার বড় বাধা।
এর কারন হিসেবে জানাগেছে, গত নির্বাচনে কায়সার হাসনাতের পছন্দের তালিকায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নান্নু। নান্নুকে ঠেকাতে এ আসনের সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও জেলার একজন প্রভাবশালী এমপির মাধ্যমে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার পক্ষে তদবিরের মাধ্যমে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া আমেরিকায় থাকাবস্থায় জানতে পারেন তিনি নৌকার প্রার্থী। ফলে তিনি বিনা ভোটেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
এদিকে সামনের নির্বাচন নিয়ে রুবিয়া সুলতানা ও রফিকুল ইসলাম নান্নু ছাড়াও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এএইচএম মাসুদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারের নামটি। তবে গত জাতীয় নির্বাচনে বেশ আলোচনায় থাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরুকেও উপজেলা নির্বাচনে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।