সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬/১৭ সাল পর্যন্ত টানা রাজপথে একক সক্রিয়তা দেখাতে গিয়ে হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সেইসব সাংগঠনিক নেতাকর্মীরা এখন রয়েছেন নেতৃত্বের বাহিরে। যেখানে এসব রাজপথের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল কিংবা ভরসাস্থল হিসেবে রয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
এখানে ২০১৩/১৪ সালের আন্দোলনে এসব নেতাকর্মীদের একক দখলে ছিলো নারায়ণগঞ্জের রাজপথ। কিন্তু ২০১৬ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর থেকে ধীরে ধীরে এসব সক্রিয় ও রাজপথের সাংগঠনিক নেতাকর্মীরা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর পদ পদবী ও নেতৃত্ব হারিয়ে ফেলেন। তবুও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে হামলা মামলায় নাজেহাল এসব নেতাকর্মীরা।
বিএনপির মহানগরীর বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানান, খোরশেদ মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়। এরি মধ্যে তিনি মহানগরীর প্রতিটি এলাকার অলিগলিতে নেতাকর্মী তৈরি করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরীতে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে একমাত্র শক্তিশালী সংগঠন ছিলো মহানগর যুবদল, যার নেতৃত্বে ছিলেন খোরশেদ। তার হাতে গড়া নেতাকর্মীরাও এখনো তার নেতৃত্বে অটুট রয়েছেন, যেখানে বিএনপির কোনো পদেও নেই খোরশেদ।
খোরশেদের নেতৃত্বে সেইসব নেতাকর্মীরা এখনো বিএনপির দলীয় সকল কর্মসূচিগুলো সবধর্পে পালন করে আসছেন। অনেক নেতাকর্মীরা মান-অভিমানে ক্ষোভে রাজপথ থেকে দূরে রয়েছেন নীরবে। তারা আশা দেখছেন সামনে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে খোরশেদ আসলেই তারা খোরশেদের নেতৃত্বে আবারো রাজপথে নিজেদের শক্তির জানানি দিবেন। কারন তারা সেই আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০১৩/১৪ সালের আন্দোলনে নজির স্থাপন করে দেখিয়েছিলেন। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীরা রয়েছেন খোরশেদের উপর ভরসা করে এবং যাদের অনেকে রয়েছেন নীরব তারাও আশা দেখছেন সামনে খোরশেদ নেতৃত্বে আসলে তারা আবারো রাজপথে ফিরে আসবেন।