সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ড. অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, অনেকেই মনে করেন কিংবা কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছে যে, আমি এবং দলের চেয়ারম্যান সমশের মুবিন চৌধুরী নাকি তৃণমূল বিএনপি থেকে চলে যাবো? এটা সঠিক তথ্য নয়। আমরা তৃণমূল বিএনপি নিয়েই আছি। ভবিষ্যতে তৃণমূল বিএনপি ১৮ কোটি মানুষের দৌড়গড়ায় পৌঁছানোর জন্য প্রতিদিন কাজ করছি। তৃণমূল বিএনপি কোনো পিছপা হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। তৃণমুল বিএনপি ছেড়ে অন্য কোনো দলে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর তৃণমূল বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়টি পরিদর্শনে এসে তৈমূর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। এদিন মহানগরীর মাসদাইর এলাকার মহানগর তৃণমূল বিএনপির এই কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি রিক্সাওয়ালা কুলি জী দিনমজুর নাপিতদের সংগঠন করে আসছি, বস্তিতে বস্তিতে রাত কাটিয়ে তাদের যখন সংঘঠিত করতে পারছি। এখন তৃণমুল বিএনপি নিয়ে সারা বাংলাদেশে মানুষের মন মগজে রেভোলুশন তৈরি করার জন্য চেষ্টা করবো এবং জনগণ এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে চলমান রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গণতন্ত্র। যারা সরকারে থাকে তারা গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা দেয় একরকম আর যারা বিরোধী দলে তারা গণতন্ত্র ব্যাখ্যা দেয় আরেকরকম। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি জনগণের আশা আকাংখার প্রতিফলনই ঘটনোই হলো গণতন্ত্র। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় জোর যার মুল্লক তার, এটাই হলো গণতন্ত্র। যে ক্ষমতায় থাকে সে এটাই মনে করে জোর যার মুল্লক তার। সে এটার জন্যই মায়া কান্না করে।
তৈমূর বলেন, গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করেছে তারা গণতন্ত্রের নাম দিয়েই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই এজন্য বাংলাদেশে অসুস্থধারার রাজনীতি বিরাজ করছে। আমাদের দল তৃণমূল বিএনপি মনে করে সুস্থ রাজনীতি সুশাসনের ভিত্তি। যেখানে সুশাসন নেই সেখানে নিরপেক্ষ গ্রহণমূলক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করা যায় না। গণতন্ত্র নেই বলেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় না। গায়েবী মোকদ্দমা গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। গাড়ি পোড়ানো যেমন ফৌজদারী অপরাধ তেমনিভাবে গায়েবী মোকদ্দমা গণতন্ত্রের জন্য প্রতিবন্ধকতা।
জাতীয় ঐক্যমত প্রয়োজন দাবী করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে সচেতন মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। যার কারণে সচেতন মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। সার্বিক বিষয় মিলিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ আর নাই। এজন্য জাতীয় ঐক্যমত দরকার। সবদলের সমন্বয়ে জাতির চাহিদা হতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু আমাদের দেশে জাতীয় ঐক্যমত সম্ভব না। এটা বর্তমান প্রজন্মের দ্বারা সম্ভব না ভবিষ্যত প্রজন্মে দ্বারাও সম্ভব না। তবে তৃতীয় প্রজন্মের দ্বারা জাতীয় ঐক্যমত সম্ভব হতে পারে।
নির্বাচনে সরকারের সাথে আঁতাত প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে গণসচেতনতা দরকার। গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা তৃণমূল বিএনপি কাজ করছি। বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা এবার নির্বাচনে হেরে গেছি, তবে ভুলে যায়নি বা মেনে নেয়নি। মেনে নিয়েছি কি না এটা প্রশ্ন আছে। আমরা আমাদের সরল বিশ্বাসের কাছে হেরে গিয়েছি অথবা অতি আত্মবিশ্বাস কিংবা মেজর ইব্রাহীম সাহেবের যে বুদ্ধি ছিলো আমাদের মাথায় সে বুদ্ধি ছিলো না। তবে আমরা নৈতিকতা বিরোধী কোনো কাজ করি নাই, সরকারের সাথে কোনো আঁতাত করি নাই। আমরা নিজস্ব আঙ্গিকে নির্বাচন করেছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিটি দিয়েছি। আমরা আমাদের কাজ শুরু করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর তৃণমূল বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন, জেলা তৃণমূল বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম রোকন ও মহানগর তৃণমূল বিএনপির সদস্য সচিব সাজিদ খান সিদ্দকী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বার্তা প্রেরক
মাজহারুল ইসলাম রোকন,
সদস্য সচিব, তৃণমুল বিএনপি, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা
০১৯২০৮৮৮২২৮