সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। বিভিন্ন এলাকার রাস্তা এখন আর রাস্তা নয়, নদীতে রূপ নিয়েছে। মানুষ গাড়ি দিয়ে এবং পায়ে হেঁটে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় জলাবদ্ধতায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষ পানি ভেঙে চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে৷ তবে রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এদিকে শুক্রবার ফতুল্লা, এনায়েতনগর এবং কাশিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ঘুরে রাস্তায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়। রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মুসলিমনগর মধ্যপাড়ায় রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে আছে। যার কারণে ময়লার পানি ভেঙে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। ময়লা পানি ভেঙে চলাচল করায় অনেক নারী পুরুষের পানিবাহী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
তারপরও পানি ভেঙে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। আর ফতুল্লার রেলস্টেশন হতে পিলকুনি পর্যন্ত রাস্তায় হাটু পানি জমে রয়েছে। এই পানি ভেঙে মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ রোডের চলাচল করতে গিয়ে প্রায় সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। আর কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর টাওয়ার পাড় এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে মিশুক ও অটো রিকশা উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটছে।
মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার আহমেদ হোসেন বলেন, মুসলিমনগর মধ্যপাড়ার রাস্তাটি সারা বছর পানিতে ভাসছে। ড্রেনের কারণে সব সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর একটু বৃষ্টি হলে হাটু পানি জমে নদীতে রূপ নেয়। আমরা সব সময় পানি ভেঙে চলাচল করলেও জনপ্রতিনিধি রহস্যজনক ভূমিকা পালন করে চলছে।
কাশিপুরের টাওয়ার পাড় এলাকার সুলতান বলেন, আমরা সারা বছর পানির নিচে থাকলেও জনপ্রতিনিধিরা কোন খবর নেয় না। কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উন্নয়নের রূপকার হলেও উত্তর নরসিংপুর টাওয়ার পাড় এলাকার রাস্তাটি কেন এ অবস্থায় পড়ে আছে বুঝতে পারছি না।