সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত তিনটি বছর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির উপর রীতিমত ঝড় বয়ে গেছে। গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ অক্টোবর ও তার পূর্ব থেকেই পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযানে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রায় ৮২ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মী দীর্ঘ তিন মাস যাবত রয়েছেন আত্মগোপনে। নির্বাচনের পূর্বে সোনারগাঁও থানায় ৪টি মামলায় কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। শুধু সোনারগাঁও থানাতেই নয় জেলার অন্যান্য থানা পুলিশের দায়েরকৃত মামলাতেও সোনারগাঁয়ের বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়।
২৮ অক্টোবর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকার সমাবেশে যোগদান করেছিলো সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি। সেই সমাবেশে সোনারগাঁয়ের বেশকজন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়। পুলিশের চতুর্মুখী হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সেই থেকে এক দফা দাবি আন্দোলনে সোনারগাঁও উপজেলা ছাপিয়ে জেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন মান্নান।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত দফায় দফায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল অবরোধ করে রাস্তায অগ্নিসংযোগ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সোনারগাঁয়ের ৮২জন নেতাকর্মী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হোন। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মিয়া সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস কারাভোগ করেছেন। এখানো অনেক নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন। পুলিশের মামলায় আসামী হয়ে বহু নেতাকর্মী এখানে বাড়ি ছাড়া আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করছেন মান্নান।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে ঢাকার কালো পতাকা মিছিলেও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে যোগদান করেছেন। যেসব নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন সেইসব নেতাকর্মীরা জামিন পেলে আবারো পুরোদমে রাজপথে ফিরতে যাচ্ছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, এই সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে সক্রিয় থাকবেন। আইনি জটিলতা কাটিয়ে তারা আবারো রাজপথের আন্দোলনে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচিগুলো পালন করবেন।