সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ১১ মে। এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াকেই সোনারগাঁবাসীর জন্য নিরাপদ মনে করছেন স্থানীয়রা। একইভাবে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের রাজনীতির জন্যও সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াকেই নিরাপদ মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। নতুবা এর ব্যতয় ঘটলে কায়সার হাসনাতকেই আগামী ৫টি বছর খেসারত দিতে হতে পারে। স্থানীয়রা মনে করেন- সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার দ্বারা সোনারগাঁবাসীর ক্ষতি হবে না। কায়সার হাসনাতের রাজনীতিও থাকবে সচল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছেন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কায়সার হাসনাতের চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করেন, কালাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সামনের ৫টি বছর কায়সার হাসনাতের জন্য সবচেয়ে কঠিন হয়ে ওঠবে। একইভাবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কায়সার হাসনাতের জন্য কালাম হয়ে ওঠবেন বড় ফ্যাক্টর। শুরুতেই কোনঠাসা হয়ে যাবে কায়সার হাসনাতের রাজনীতি। নান্নু কিংবা আলী হায়দারকে এখনই কায়সার হাসনাতের পাশের চেয়ারটির যোগ্য মনে করছেন স্থানীয়রা। যার মধ্যে উপজেলা জুড়ে নান্নুর ইমেজ সংকট রয়েছে। আলী হায়দারের ইমেজ সংকট না থাকলেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কায়সার হাসনাতের পাশের চেয়ারে বসানোর সময় হয়ে ওঠেনি।
চাচা মনির হোসেনকে কায়সার হাসনাত সমর্থন করলে উপজেলা আওয়ামীলীগের মাঝে আরো বেশি বিদ্রোহী দেখা দিবে। ফলে কায়সার হাসনাতের কাছের লোকজন সটকে পড়তে পারে। সব মিলিয়ে মুরুব্বী হিসেবে কায়সার হাসনাতের পাশে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াকেই রাজনৈতিকভাবে যোগ্য মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। সেই সঙ্গে সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার হাতেই সোনারগাঁবাসী ও সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদকে নিরাপদ মনে করছেন তারা।