সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ এর অভিযানে “৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার” চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র আসামী মোঃ এবাদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।
তিনি জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত নারায়ণগঞ্জ আদালতের বিচারক মোঃ আমিনুল হক উক্ত আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত বিষয়ে আসামীর গ্রেপ্তার র্যাব গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে। এক পর্যায়ে র্যাব-১১ একটি গোয়েন্দা দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামীর অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
সদর কোম্পানি, র্যাব-১১ অভিযানে গত ৭ মার্চ মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবাদুল্লাহকে রুপগঞ্জ থানাধীন গাউছিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গত ২০০০ সালের ৫ জুলাই বুধবার আনুমানিক রাত ২টায় আসামী এবাদুল্লাহ তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিজ স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামী আনুমানিক রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে তার স্ত্রী লিপি আক্তারকে মারপিট করিয়া ও গলায় কাপড় পেচাইয়া শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ নজুম উদ্দিন বাদী হয়ে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে রুগগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৪(০৭)২০০০ ইং, তারিখ-০৫/০৭/২০০০ ইং, দন্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ এবং দায়রা মামলা নং- ০৬/০৪ । আদালত বিচার শেষে উক্ত আসামির বিরুদ্ধে আনীত দন্ডবিধি আইন ৩০২/২০১/৩৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে বাদির বড় মেয়েকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এবাদুল্লাহকে মৃত্যুদ- প্রদান করে।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীকে র্যাব-১১ এর আভিযানিক গোয়েন্দা দল কর্তৃক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
