সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই ভোটের হিসেব কষছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ ও আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। যেখানে এখন পর্যন্ত যাদের নাম চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় আসছে তাদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান কালামের পক্ষেই জনমত বেশি। অধিকাংশ নাগরিকদের মতামত- কালামের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে বাকিদের জামানত রক্ষা করাটাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ, যদি সুষ্ঠু ভোট হয়।
এর মধ্যে বর্তমান এমপি কায়সার হাসনাত নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে হুমকি ধমকি ভয়ভীতি হামলা মামলার কারনে কায়সার হাসনাতের দুইপাশের যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন তাদের ভড়াডুবি আরো নিশ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় নিরীহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মামলা দিয়ে হয়রানি করার মিশন নিয়েছে কায়সার হাসনাতের চারপাশের ক’জন, যাদের মধ্যে দু’একজন প্রার্থী রয়েছেন। ফলে কালামের ভোটের পাল্লা আরো ভারি হয়ে ওঠছে।
নেতাকর্মীরা জানান, ১১ মে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাহফুজুর রহমান কালাম তার নির্বাচনী মাঠ ঘুছিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটা এলাকায় কালাম জনমত সৃষ্টি করেছেন। কালামের সঙ্গে যেসব চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা ভোটের হিসেবে জনপ্রিয়তায় কালামের দ্বারে কাছেও নাই। অনেকে মনে করেন-খোদ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ভোটের হিসেবে সকল প্রার্থীর নিচেই থাকতে পারেন। বাকি বেশকজনের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষ ভয় পায়, যাদের মধ্যে কারো কারো ইমেজ বেশ সংকট, এমন কাউকে সমর্থন করলে কায়সার হাসনাতের ইমেজ ক্ষুন্ন হবে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে এখনই নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ন্নানু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার। এদের মধ্যে আলী হায়দারের ক্লিন ইমেজ থাকলেও উপজেলা জুড়ে তার সাংগঠনিক দূর্বলতা রয়েছে, যেখানে কালামের প্রধান প্রতিদ্বন্ধি হয়ে ওঠার মত তাকে মনে করছেন না ভোটাররা। ফলে এ সকল প্রার্থী মাঠে থাকলে এবং সুষ্ঠু ভোট হলে কালামই হতে পারেন পরবর্তী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।