সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ১১ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু করেছেন। নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন উপজেলাবাসীর সঙ্গে। যদিও সারা বছরই তিনি রূপগঞ্জের আপামর জনতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং মানুষের খোঁজখবর নেন।
এদিকে আদালতপাড়া সুত্রে, নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় একজন সাদাসিদে সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে সকলের মাঝে পরিচিত তিনি। স্বপন ভূঁইয়ার রাজনৈতিক জীবনের বিষয়ে জানাগেছে, তিনি সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও আপ্যায়ণ সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক এবং আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদেও নির্বাচিত হয়ে নারায়ণগঞ্জের ১৬’শ আইনজীবীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
এদিকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তৃনমূল থেকে ওঠে আসা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এবার আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান রূপগঞ্জ উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে রূপগঞ্জবাসীর সেবা করতে চান।
স্বপন ভূঁইয়ার রাজনীতি শুরুর ইতিহাস থেকে জানাগেলো, ১৯৯৭ সালে রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। ওই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তিনি মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের জিএস প্রার্থীও ছিলেন। তবে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার কারনে নির্বাচনে তিনি দাঁড়াননি। যদিও পদে না আসলেও তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন অগ্রভাগে।
নারায়ণগঞ্জ আদালতের এই নম্র ভদ্র সদাচারী আইনজীবী নেতা ২০০১ সালের পর জোট সরকার আমলে মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। তারপর রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার কয়েক দিন পর রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তিনি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ জনের কমিটিতে তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ছাত্রলীগের এই শীর্ষ পদে থেকে পুরো উপজেলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করেন। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গিয়ে কমিটি গঠনে কাজ করেন। যার ফলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে আহ্বানও রাখেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলে তিনিই ওই সময় সভাপতি নির্বাচিত হতেন। যা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ আলোচিত ছিলেন তিনি। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের বয়স ৩১ নির্ধারণ করায় তিনি আর সেই পদে প্রার্থী হতে পারেননি।
২০১০ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়া। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি পুরোদমে আইন পেশায় মনোযোগী হন। ভার্সিটি জীবনেও তিনি ভার্সিটিতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আইন পেশায় এসে তিনি ২০১৫ সালের দিকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রূপগঞ্জ উপজেলার কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি একই পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও জানাগেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালিত আওয়ামীলীগ পরিবারের এই সন্তান যার বাবা আফজাল হোসেন ভূঁইয়া ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। প্রয়াত আফজাল হোসেন ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে জনগণের সেবা করেছেন। মোহাম্মদ স্বপন ভূঁইয়ার ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম দুলাল মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের জিএস ছিলেন। আপন বড় ভাই খোকন ভূঁইয়া আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের রূপগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও আরেক ছোট ভাই আবু ভূঁইয়া মুড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এখন সদাচারী নম্র ভদ্র সহজ সরল আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট স্বপন ভূঁইয়া একই সঙ্গে রূপগঞ্জের সামাজিক কর্মকান্ডেও সক্রিয়। রয়েছেন রূপগঞ্জের স্থানীয় অনেষা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। সহযোগীতা করে আসছিলেন ছোট ছোট বিদ্যালয়ের অনেক কর্মকান্ডেও। রয়েছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। তিনি বর্তমানে রূপগঞ্জ শিল্পগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সভাপতির পদেও রয়েছেন।