সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে সোনালী আঁশ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব ড. তৈমূর আলম খন্দকার। সেই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তৈমূর আলম খন্দকারের মনোনয়নপত্রটি ষড়যন্ত্রমুলকভাবে বাতিলের চেষ্টা করা হয়েছিলো বলে খোদ অভিযোগ তুলেছেন তৈমুর আলম খন্দকার। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগটির সূত্রে জানাগেছে, নির্বাচন কমিশনে তৈমূর আলম খন্দকারের মনোনয়নপত্র জমাদানের পর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ এর ফতুল্লা জোনাল অফিস থেকে ৪ ডিসেম্বর জানানো হয়, তৈমূর আলম খন্দকারের পিতা শাহআলম খন্দকারের নামে গ্যাস সংযোগের জন্য ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬১০ টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। তখন তৈমূর আলম খন্দকার হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং মনোনয়নপত্রটি বাতিল ষড়যন্ত্র হতে পারে এমনটা ভেবে দ্রুত তিনি সম্পূর্ণ টাকা তিতাসকে পরিশোধ করেন।ওই সময় তৈমূর আলম খন্দকার এ নিয়ে ব্যাপক মানসিক চাপ অনুভব করেন ও হয়রানির শিকার হোন।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী তিতাসের ফতুল্লা জোনাল বিপনন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মুহাম্মদ মশিউর রহমান এক চিঠির মাধ্যমে তৈমূর আলম খন্দকারকে জানান, তার সংযোগে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮০ টাকা ক্রেডিট ব্যালেন্স জমা আছে, যা পরবর্তীতে কেটে রাখা হবে।
এ বিষয়টিকে তৈমূর আলম খন্দকার মনে করেন, নির্বাচনে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো। তিনি বলেন, নতুবা আমার কোনো ট্যাক্স, ইউটিলিটি বিল, গ্যাস সহ কোনো বিলই বকেয়া ছিলো না, তাহলে কেন আমাকে হয়রানি করে অহেতুক আমার কাছ থেকে টাকা নেয়া হলো? ওই সময় হয়তো এই টাকা পরিশোধ করা না হলে আমার মনোনয়নপত্রটি নিশ্চয় বাতিল করা হতো।
এদিকে ওই টাকা ফেরত চেয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ তৈমূর আলম খন্দকার গত ১৮ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর দিয়েছেন।