জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: প্ররোচনাদাতাদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে ‘যৌন নিপীড়ন ও হয়রানীমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম কর্তৃক আইন বিভাগের ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে প্রতিবাদী মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার ২০ মার্চ দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া- মেট্রো হল সংলগ্ন প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আনজুমান আরা আকসির।

বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, সংগঠন সম্পাদক প্রীতিকণা দাস, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম, পরিচালনা করেন আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা।

বক্তারা বলেন- আজকের ডিজটাল বাংলাদেশে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা, নারীর অগ্রযাত্রায় চরম প্রতিবন্ধকতা। বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুতিকাগার। এখানে মুক্ত আকাশ, মুক্ত বাতাস মনকে বিকশিত করে, মানবিক মানুষ তৈরী হয়। এখানকার কারিগর অর্থাৎ শিক্ষকবৃন্দ মানবতার ফেরিওয়ালা, বিবেকের প্রতীক, ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়! সেখানে শিক্ষক যদি নিজেই নির্যাতক হয়, নির্যাতনকারী ছাত্রের সহযোগী হয়। তাহলে এই জাতির ভবিষ্যৎ কোথায়! জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কি অবস্থা! দেশের আনান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই পরিস্থিতি বিরাজমান। আইন বিভাগের ছাত্রী অবন্তিকাকে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী লাগাতার যৌন নিপীড়ন ও হয়রানী, মানসিক উৎপীড়ন ও হুমকি- ধামকি দিত। এর প্রতিবাদে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এর কোন সূরাহা না করে সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম নির্যাতক আম্মানের পক্ষ নিয়ে অবন্তিকাকে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানি করে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিত যৌন নিপীড়ন ও হয়রানী প্রতিরোধ কমিটিকে কার্যকর করতে হবে। শিক্ষকদের নৈতিকতাবোধ, সততা, বিবেক, মানবতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। শুধু একাডেমিক ফলাফলের উপর নির্ভর না করে এসব গুণের অধিকারী যোগ্য ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা হবে। উক্ত প্রতিবাদী মানববন্ধনে জেলা ও শহর কমিটির অর্ধ শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।