সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ৮ মে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যারা আলোচনায় ও প্রচার প্রচারণায় ছিলেন তাদের মধ্য থেকে তিন প্রার্থী ভোটের আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে সুষ্ঠ ভোটে আতাউর রহমান মুকুলের জয়ের পথ আরো সহজ হয়ে গেলো। এদিকে অপর একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর অর্থে মুকুলের বিরোধীপক্ষ মুকুলকে ঠেকানোর মিশনে নামলে সেটা স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তা বিএনপি নেতাকর্মী ও বন্দরবাসীর কাছেও খোলাসা হয়ে যাওয়ায় মুকুলের পক্ষে জনসমর্থন আরো বেড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখেচেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দীন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন।
কিন্তু গত সপ্তাহে কাজিম উদ্দীন, এমএ সালাম ও দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানান। ফলে নির্বাচনে এখন আতাউর রহমান মুকুল, আবু সুফিয়ান, মাকসুদ হোসেন ও এমএ রশিদ নির্বাচনে প্রার্থীতা করার বিষয়ে এখনো অটুট রয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি- নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ভোট হলে আতাউর রহমান মুকুল বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। যেখানে সুষ্ঠু ভোটে এমএ রশিদের জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নাই। মাকসুদ হোসেন ভোটের মাঠে থাকলেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার মত ভোটব্যাংক তার নেই। একই দশা আবু সুফিয়ানের। এই দুজনের অর্থের জোর থাকলেও জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেনি। যেখানে মাকসুদ ও তার ছেলের নানা কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ মুছাপুরের ইউনিয়নবাসী।
স্থানীয় এমপি একেএম সেলিম ওসমান চান বন্দর উপজেলা অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হোক। সুষ্ঠ ভোটে যিনি নির্বাচিত হবেন তাকেই এমপি স্বাগত জানাবেন। এমপি আগেও বলেছেন, তিনি দলমত চিনেন না, ভালো ও যোগ্য মানুষদের নিয়ে তিনি উন্নয়ন করতে চান। সেদিক থেকে অতীতেই একমাত্র যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন আতাউর রহমান মুকুল।