সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১, সিপিসি-১ এবং র্যাব-২, সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার “তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার ২নং এজাহারনামীয় পলাতক আসামী ইকবাল চৌকিদারকে ডিএমপি ঢাকা জেলার বাড্ডা থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক, মেজর অনাবিল ইমাম।
তিনি জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জ ও র্যাব-২, সিপিসি-১, ঢাকার একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ২৫ মার্চ ডিএমপি ঢাকা জেলার বাড্ডা থানাধীন পূর্ব বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত চাঞ্চল্যকর তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী ইকবাল চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব আরো জানায়, গত ৭ জানুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামীরা তরিকুল ইসলামকে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন হোগলাকান্দি পশ্চিমপাড়া ব্রীজের উপর কাঠের লাঠি, ধারালো চাকু, চাপাতি এবং দেশীয় অস্ত্রসহ হত্যার উদ্দেশ্যে পথ রোধ করে। নিহত ভিকটিম তরিকুল ইসলামের সাথে আসামীদের বাকবিতন্ডের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাত-পা চেপে ধরে আসামীদের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে নিহত ভিকটিম তরিকুল ইসলামের বুকের বাম পাশে উপর্যুপরি আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর জখম করে ব্রীজের উপর ফেলে রেখে আসামীরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে নিহত ভিকটিমের আর্তনাদ শুনে স্থানীয় লোকজন মূমুর্ষ অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। মারাত্মক আহত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলামের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে নিহত ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ বাইজিদ বেপারী গত ৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকেমুন্সিগঞ্জ জেলার, জেলা গোয়েন্দা শাখায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।