সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নিত্যপণ্য দ্রব্যমু্ল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আন্দোলন উপ-পরিষদের উদ্যোগে ৩১ মার্চ রবিবার সকালে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১৮নং নবাব সলিমুল্লাহ সড়ক মহিলা পরিষদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, জেলার সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক রীনা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম, পরিচালনা করেন আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা।
উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুশ্রী নিয়োগী, সহ-সভাপতি কৃষ্ণা ঘোষ, সংগঠন সম্পাদক প্রীতি কণা দাস, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রওশন আরা পারুল, সদস্য রাশিদা বেগম, শহর কমিটির পক্ষে শীলা সরকার, উম্মে লায়লা, দীপা রায়, শাহনাজ বেগম লিপি, কাওছারা আক্তার পান্না, নুপুর প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়েছে প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেল, চাল, ডাল, আটা, পিঁয়াজ, মাছ-মাংস, দুধ, চিনিসহ প্রতিটি পণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি দ্বিগুণ- তিনগুণ হয়েছে। এর কারণে বাসা ভাড়াও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবন চরম দুর্ভোগের শিকার। ঔষুধপত্রেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির মূল্য দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেককে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অভাব অনটনের কারণে পারিবারিক অশান্তি ও কলহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে নারীরা বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। গণমাধ্যমে এসব বিষয় নিয়মিত প্রচার হলেও সরকার পক্ষ থেকে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি আইন প্রয়োগ করে দ্রুত বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তেল, চাল, ডাল, আটা, পিঁয়াজ, দুধ, ডিম, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে সহনীয় মাত্রায় আনতে হবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য কমাতে হবে। এ কর্মসূচি জেলা, শহর ও পাড়া কমিটির অর্ধ শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন।