সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গেল ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনের মাস কয়েক পূর্বে পুরোদমে মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সুমন। কিন্তু নির্বাচনের পর আবারো বিএনপির রাজনীতির আলোচনার বাহিরে চলে গেছেন চাচা ভাতিজা জুটি। রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে তাদের বিমুখী দেখা গেলেও নির্বাচন নাগাদ সময়ে তারা মনোনয়ন লড়াইয়ে নামেন।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের একক নিয়ন্ত্রণে এখন আড়াইহাজারের উপজেলা বিএনপি। তিনি গত জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের মডেল দেখিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করেছেন রাজপথে। আজাদের নেতৃত্বে রাজপথে কঠোর আন্দোলন করতে গিয়ে বিপুর সংখ্যক নেতাকর্মী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হোন। কিন্তু সেই সময় চাচা আঙ্গুর ও তার ভাতিজা সুমনের ছায়াও দেখা যায়নি আড়াইহাজারের রাজপথে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি কঠোর আন্দোলনে লড়াই করেন রাজপথে। জেলা বিএনপির বেশকজন নেতা সহ আজাদ ছিলেন সামনের সারিতে। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে বিএনপির দশ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কযেক দফা তাদেরকে রিমাণ্ডে নেয়া হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু নেতাকর্মীদের সব ধরণের সহযোগীতা সহায়তা করেছেন আজাদ, যেখানে এমপি হওয়ার স্বপ্ন চাচা ভাতিজার কোনো ভুমিকা নাই নেতাকর্মীদের পাশে।
নির্বাচনের পর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন আজাদ। নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থাও করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনের পর রাজনীতির মাঠে তো দুরের কথা আঙ্গুর ও সুমনের ছায়াও দেখা যাচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনের পর বিএনপির কর্মসুচিগুলো পালন করতেও দেখা যায়নি তাদের। ফলে আবারো সামনের নির্বাচন নাগাদ সময়ে মনোনয়ন যুদ্ধে নামবেন আঙ্গুর ও সুমন। এমনই স্থানীয়দের অভিমত।