সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামকরণে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চাষাড়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলটি। শহীদ জিয়া হলে বৃহত্তর আকারে জিয়াউর রহমানের ছবি সম্বলিত একটি ম্যুরাল সাটানো ছিলো দীর্ঘদিন যাবত। ১৫ বছর পূর্বে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক দফা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা ও জিয়া হলের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করে আসছিলো সরকার দলের নেতারা। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কর্ণধার তৈমুর আলম খন্দকারের আন্দোলনের মুখে সরকারি দলে জিয়া হলের নাম পরিবর্তন ও জিয়া হল থেকে জিয়ার ছবি সরাতে পারেনি।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ৩ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাতে কে বা কারা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙ্গে ফেলেছে। এ ঘটনায় বিএনপির নেতারা নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ নেতা এমপি শামীম ওসমানকে দায়ী করেছেন। এর একদিন পর ৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শামীম ওসমান। তিনি দাবি করেছেন, এটা জিয়া হল নয়, এটা টাউন হল। সরকারি দপ্তরে টাউন হলে নামেই নথিভুক্ত। ২ এপ্রিল ভবনটি ভাঙ্গার বিষয়ে বৈঠক হয়েছে, ৪ এপ্রিল এটা ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত হয়। এটা তো ভাঙ্গবে প্রশাসন। সেখানে আমাকে যারা দায়ী করছেন তাদের উত্তর আমি দিবো না।
২০১৪ সালে তৎকালীন জাতীয় পার্টির এমপি প্রয়াত নাসিম ওসমান বলেছিলেন, এটা জিয়া হল নয়, এটা টাউন হল হবে। এর কয়েক বছর পর তিনি বলেছিলেন, এটাকে মরহুম মনির হোসেনের নামে হবে। মাঝে একবার জিয়াউর রহমানের ম্যুরালে কালি লেপন করা হয়েছিলো। ওই সময় তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের কঠোর ভুমিকায় এবং আন্দোলনের মুখে ম্যুরাল থেকে কালি মুছতে বাধ্য হয় সরকারি দল। যতবারই এটা সরানোর চেষ্টা করেছিলো সরকারি দল, কিন্তু তৈমূর এটা সরাতে দেননি। কিন্তু এটার তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপিতে নাই, যে সুযোগে সরকারি দল জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙ্গতে পেরেছে। দীর্ঘ ১৫টি বছর নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়ায় জিয়ার ছবি ঠােই দাঁড়িয়েছিলো কেবল তৈমূর আলম খন্দকারের কঠোর ভুমিকায়। আজকে তৈমূর আলম নাই, তাই জিয়াউর রহমানের ম্যূরালটির ভাঙ্গন ঠেকাতে পারলো না দূর্বল বিএনপি। এমনকি মহানগর বিএনপির মাত্র ৭জন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে গিয়ে ফটোসেশন করে বক্তৃত্তা দিয়ে তাদের দায় সেরেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে বিএনপি কোনো জোরালো প্রতিবাদ জানাতে পারেনি।