সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। উচ্চ আদালতে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিতের নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
৯ এপ্রিল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নির্বাচনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীর মধ্যে বাকযুদ্ধ ছিলো। পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে একে অপরকে ঈঙ্গিত করে নানা মন্তব্য করতে থাকেন, যা আজোবধী চলছিল।
তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু। তারা দুজন একে অপরকে ইঙ্গিত করে গত কয়েক দিন যাবত নানা বক্তব্য দিয়ে আসছিলো। তাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রীতিমত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠছিলো।
স্থানীয়রা জানান, তারা দুজনই এমপি একেএম শামীম ওসমানের বিশ্বস্থ কর্মী। শামীম ওসমানের রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য তারা। সেই শামীম ওসমানের রাজনৈতিক পরিবারের আগুন লেগেছিলো। সেই আগুনে পানি ঢেলে দিলো নির্বাচন কমিশন, যখন নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দিলেন।
যদিও শাহাদাত হোসেন ভুঁইয়া সাজনুর বড় ভাই মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল ও ভাগনে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন চুপসে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চে আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ প্রতিপালনার্থে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে জানাগেছে, আগামী ৮ মে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
২০০৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন তৎকালীন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। এর পরবর্তী নির্বাচনে এলাকার সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেন স্থানীয়রা। সেই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার কারনে আজোবাধী নির্বাচন হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত আজাদ বিশ্বাস চেয়ারম্যান, নাজিম উদ্দীন ভাইস চেয়ারম্যান ও ফাতেমা মনির নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।