সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা’সহ দুইজন অপহরণের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের হেফাজত থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। ৯ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া।
তিনি জানান, র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক একটি বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চৌধুরী বাড়ি এলাকা হতে অপহরণ চক্রের পরিকল্পনাকারী সহ ২জন আসামী গ্রেপ্তার এবং তাদের হেফাজত হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত সূত্রে জানা যায় যে, অত্র মামলার ভিকটিম মোঃ সুমন পেশায় একজন পোষাক শ্রমিক। সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরী বাড়ি এলাকায় অবস্থিত পি. এম. নিটেক্স (প্রাঃ) লিঃ-এ ডাইং ইউনিটে কর্মরত আছে। প্রতিদিনের ন্যায় ডিউটি শেষে গত ৮ মে রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরী বাড়ি সাকিনস্থ আর কে গ্রুপ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর এসে পৌছালে একদল দুষ্কৃতিকারী ভিকটিমের পথরোধ করে।
এরপর আসামীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন দুষ্কৃতিকারী তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ চড়থাপ্পর মারতে থাকে এবং ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে এবং তারা ভিকটিম কে জিম্মি করে তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তি পান দাবী করে। আটক থাকাকালীন ভিকটিম মোবাইল ফোন দিয়ে তার বড় ভাই মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাকে উদ্ধার করতে বলেন। পরবর্তীতে এই বিষয়ে ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
এই অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত চক্রটির মূলহোতা মোঃ তুষার’সহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার লক্ষ্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ, সিপিএসসি কোম্পানি এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে তাদের অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা আসামী মোঃ তুষার ও মোঃ সজিব মিয়াকে সনাক্ত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ এর অভিযানিক দল ৮ মে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরী বাড়ি এলাকা হতে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তাদের হেফাজত হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।